অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৪

অনেকেই লোন সম্পর্কে জানলেও অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। যারা অনলাইন মোবাইল লোন সম্পর্কে জানে না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। বাংলাদেশের কিছু সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংক অনলাইনে মোবাইল লোন সেবা দিয়ে থাকে, কিভাবে তাদের মাধ্যম থেকে মোবাইল লোন নেওয়া যায় সেই সম্পর্কে এই পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে।

আমরা অনেকেই সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে লোন নিতে চাই না। কারণ, ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন; বিভিন্ন ধরণের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, জামিনদারের প্রয়োজন হয়, জাতীয় পরিচয় পত্র, ইনকাম সোর্স ও বিভিন্ন ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয়। যার কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারে না। কিন্তু, মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে লোন নেওয়ার সময় এই সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

তবে, অনলাইন মোবাইল লোনের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী লোন নেওয়া যাই না। এই সকল লোনের ক্ষেত্রে কিছু লিমিট দেওয়া থাকে। যেমন; কিছু কিছু মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার টাকার বেশি লোন দেয় না। যাইহোক, নিচে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত দেখে নিন।

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৪

অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংক অথবা নির্দিষ্ট কোন ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে।এরপর, ঐ প্রতিষ্ঠানের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে, তারপর লোন অপশন থেকে লোনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার আগে তাদের শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

অনলাইন থেকে মোবাইলের মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য গুগল প্লে স্টোরে বেশ কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে। এই সকল অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া সম্ভব। তবে তার মধ্যে বিকাশ, ই ঋণ, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক অন্যতম। সিটি ব্যাংক মূলত বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে লোন প্রদান করে।

যদিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শর্ত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন; বিকাশের মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই বিকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে এবং বিকাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে। এভাবে কিছু কিছু মোবাইল ব্যাংকিং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লোন প্রদান করে আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি টাকা লোন প্রদান করে।

বিকাশ লোন কি?

বিকাশ লোন হলো এমন এক ধরনের লোন যার মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়। গ্রাহকদের এই টাকা বিকাশের মেইন ব্যালেন্সে যোগ হয়ে যাবে এবং একাউন্ট থেকে গ্রাহক এই লোনের টাকা উত্তোলন করতে পারবে।

বিকাশ লোন (Bkash Loan)

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে বিকাশে অ্যাপ লগ ইন করুন। এরপর, হোমপেজ থেকে লোন অপশনে ক্লিক করুন। তারপর, নিচে থাকা Get Loan অপশনে ক্লিক করে লোনের পরিমাণ দিয়ে Proceed অপশনে ক্লিক করুন। এরপর, সব তথ্য একবার দেখে নিয়ে আবার Proceed অপশনে ক্লিক করুন। এখন, Accept বাটনে ক্লিক করুন এবং বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে Get বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই একাউন্টে টাকা যোগ হয়ে যাবে।

মূলত এই পদ্ধতিতে বিকাশ থেকে লোন নিতে হয়। আগেও বলা হয়েছে এই লোন কিন্তু বিকাশ নিজেই দিচ্ছে না। সিটি ব্যাংক বিকাশের মাধ্যমে এই লোন দিয়ে থাকে। এছাড়া, বলা হয়েছে বিকাশ সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লোন প্রদান করে। কিন্তু সবাই ২০ হাজার টাকা লোন পাবে সেটা কিন্তু নয়। আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন সেটি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর। যেমন; বিকাশ থেকে অনেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারে আবার অনেকে ১০ হাজার বা ১৫ হাজার টাকা লোন নিতে পারে।

আগেই বলা হয়েছে বিকাশে কিছু লিমিট রয়েছে। যেমন; সবাই চাইলে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবে না। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য একজন যোগ্য ব্যবহারকারী হওয়া লাগবে। এর জন্য বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট ও অ্যাড মানি বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে এবং একাউন্টে নিয়মিত টাকা থাকতে হবে। এর থেকে বুঝা যায় সবাই চাইলেও এই লোন নিতে পারবে না।

আপনি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা বোঝার উপায় হলো আপনি যখন লোন অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে লোনের পরিমাণ দেখানো হবে। আর আপনি যদি লোন নেওয়ার জন্য যোগ্য না হন তাহলে আপনি একটি মেসেজ দেখতে পাবেন সেটা হলো; “দুঃখিত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট এখনও লোন সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত না।” যখনি এই লেখাটি দেখবেন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাবেন না।

আরো পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির আজকের বাজার দর

বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা

নিচে বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে;

  • সর্বপ্রথম এখন বিকাশ গ্রাহক হতে হবে।
  • একটি বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে “তথ্য হালনাগাদ” করতে হবে।
  • বিকাশে নিয়মিত লেনদেন করতে হবে। বিশেষ করে পেমেন্ট ও অ্যাড মানি বেশি বেশি করতে হবে।

শুধুমাত্র উপরের এই কয়েকটি কাজ ঠিকমতো করলে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হবেন। তবে ঠিকমতো লোন পরিশোধ করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।

বিকাশ লোনের ধরন

বিকাশ লোনের ধরন বলতে কিছু হয় না। আপনি বিকাশ থেকে লোন নিয়ে যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন;

  • ব্যক্তিগত কাজে
  • পড়াশোনার খরচের জন্য
  • নতুন ব্যবসা করার জন্য
  • কৃষিকাজের জন্য
  • ইনস্ট্যান্ট লোন নেওয়ার জন্য

এক কথায় আপনি আপনার যেকোন ব্যক্তিগত কাজে এই টাকা গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

বিকাশ লোন লিমিট – বিকাশ লোনের পরিমাণ

সিটি ব্যাংক বিকাশের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেয়। তবে সবাই ২০ হাজার টাকা পাবে না। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবে সেটা বিকাশের উপর নির্ভর করে। এটি বিকাশ অ্যাকাউন্টের লেনদেন, ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা ইত্যাদি সবকিছু উপর নির্ভর করে।

বিকাশ সুদের হার – বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য ব্যাংকের মতো বিকাশ লোন অ্যামাউন্টের উপর বাৎসরিক ৯% ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে। এছাড়া, বিকাশ লোনের উপর ব্যাংক প্রসেসিং ফি ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)। তবে, বিকাশ লোনের সুদের হার অনেকটা ঋণের মেয়াদ ও পরিমাণের উপর নির্ভর করে।

বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়মাবলি

বিকাশ গ্রাহক চাইলে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অথবা নিকটস্থ যেকোনো বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজে বিকাশ লোন পরিশোধ করতে পারবে। একজন বিকাশ গ্রাহক চাইলে লোন পরিশোধ করার নির্দিষ্ট তারিখের আগে যে কোনো সময় এই লোন পরিশোধ করতে পারবে। এর ফলে ইন্টারেস্টের খরচ বা সুদের হার অনেকটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে লোন পরিশোধ করা না হয় তাহলে লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২% বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে।

বিকাশ লোন কারা পাবে?

এটি সম্পূর্ণ বিকাশের উপর নির্ভর করে। তবে শর্ত অনুযায়ী যারা বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক এবং পেমেন্ট ও অ্যাড মানি বেশি বেশি ব্যবহার করে শুধুমাত্র তাদের বিকাশ লোনের সুযোগ দেই। বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। অনেক বিকাশ গ্রাহক এই সকল কাজ ঠিক মতো করার পরেও লোন পাই না যা সম্পূর্ন বিকাশের উপর নির্ভর করে।

বিকাশ লোন ফরম

বিকাশ লোনের জন্য কোন প্রকার ফরমের প্রয়োজন নেই। ফরম ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে লোনের জন্য আবেদন করার মাধ্যমে এই লোন নেওয়া যায়। শুধু তাই নয় বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোন প্রকার কাগজপত্র ও কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না।

বিকাশ লোন আবেদন ফি?

বিকাশ লোনের জন্য আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পাবেন। তবে লোনের উপর ব্যাংক প্রসেসিং ফি ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)। অর্থাৎ, আপনি যদি ৮০০০ হাজার টাকা লোন নেন তাহলে ব্যাংক প্রসেসিং ফি হিসেবে ৪৬ টাকা কেটে নেওয়া হবে।

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে বিকাশের হোম পেজ থেকে লোন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, Get Loan অপশনে ক্লিক করে লোনের পরিমাণ দিতে হবে অর্থাৎ লোনের পরিমাণ এর জায়গায় ১০,০০০ টাকা দিতে হবে। এরপর, Proceed অপশনে ক্লিক করতে হবে। সর্বশেষ, Accept বাটনে ক্লিক করে বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে Get বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই বিকাশের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা অ্যাড হয়ে যাবে।

বিকাশ লোন বন্ধ কেন?

অনেকে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারে না, তার কারণ সে বিকাশের শর্তাবলী গুলো মেনে চলে না। আগেও অনেকবার বলা হয়েছে বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে । অনেকে লেনদেন করার পরেও বিকাশ থেকে লোন পাই না তার অন্যতম কারণ হলো সে তথ্য হালনাগাদ করে নি।

বিকাশ এর তথ্য হালনাগাদ করার জন্য বিকাশ অ্যাপের হোম পেজের ডান পাশে “বিকাশ” আইকনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, Information Update অথবা বাংলায় “তথ্য হালনাগাদ” অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর, Nid Card এর সামনে এবং পিছনের ছবি তুলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর লিঙ্গ, আয়ের উৎস, আনুমানিক মাসিক আয়, পেশা ইত্যাদি তথ্য গুলো দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। সর্বশেষ, Nid Card অনুযায়ী মালিকের একটি সেলফি বা ছবি তোলার সাথে সাথে তথ্য হালনাগাদের জন্য সাবমিট হয়ে যাবে।

বিকাশ টিম আপনার সকল তথ্য যাচাই বাছাই করার ১ থেকে ১.৫ মাস পর দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টের লোন নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। তবে শুধুমাত্র তথ্য হালনাগাদ করলেই হয় না এর জন্য নিয়মিত লেনদেন করতে হবে। আর সম্ভব হলে বিকাশে কিছু টাকা রাখার চেষ্টা করবেন।

বিকাশ লোন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে 16247 এই নাম্বারে কল করুন অথবা bkash এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ঢাকা ব্যাংক লোন | ই ঋণ ঢাকা ব্যাংক লোন

এখন আলোচনা করব আপনি কিভাবে ঢাকা ব্যাংক থেকে eRin অ্যাপের সাহায্যে যেকোনো ব্যক্তিগত প্রয়োজনে লোন নিবেন। নিচে ই ঋণ সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হয়েছে বিস্তারিত দেখে নিন।

ঢাকা ব্যাংক লোন | ই ঋণ ঢাকা ব্যাংক লোন

ই ঋণ (eRin) কি?

ই ঋণ হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট লোন বা দ্রুত পার্সোনাল লোন যা ঢাকা ব্যাংক দিয়ে থাকে। এই লোনের সাহায্য আপনি আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা মেটাতে পারবেন। এই সুযোগ দিচ্ছে dhakabankltd

eRin অ্যাপের এর সাহায্যে ঢাকা ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে। এই লোনের মেয়াদ ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। eRin অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক থেকে কোন প্রকার কাগজপত্র ও ঝামেলা ছাড়াই লোন নেওয়া যাবে। তবে, লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই ঢাকা ব্যাংকে একটা একাউন্ট থাকতে হবে।

eRin লোন কারা পাবে?

২১ বছরের বেশি বয়সী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক যার মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ইউটিলিটি বিলের কপি, একটি বৈধ গুগল ও ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে তিনি eRin অ্যাপের মাধ্যমে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে।

eRin এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

eRin এর জন্য নিচের যে সকল কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো:

  • একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • বেতনের স্লিপ।
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ তথ্য।
  • ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স, পাসপোর্ট, ইলেকট্রিক/পানি/গ্যাস বিল, টএিনটি ফোন বিল ইত্যাদির মধ্যে যেকোনো একটি প্রয়োজন হবে।
  • সিকিউরিটি ও প্রমাণের জন্য সেলফি আপলোড করতে হবে।

eRin সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে dhakabankltd এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ইমারজেন্সি লোন – Emergency loan bangladesh

সহজ কিস্তিতে ইমারজেন্সি লোন বা ইনস্ট্যান্ট লোন নেওয়ার জন্য উপরের উল্লেখিত বাংলাদেশের জনপ্রিয় Bkash ও eRin অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। সহজ কিস্তিতে আপনি ৫০০০ টাকা লোন বা ১০ হাজার টাকা লোন যত খুশি নিতে পারেন। তবে ৫০ হাজার টাকা বেশি লোন নেওয়া যায় না।

যাইহোক, ভবিষ্যতে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইন লোন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখনি এই সকল প্রতিষ্ঠান লোন সেবা চালু করবে সাথে সাথে এই আর্টিকেলে সে সকল প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই Riniumi এর সাথে থাকুন।

লোন সম্পর্কে আরো জানুন

অনলাইনে ১০ হাজার টাকা লোন

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ১০ হাজার টাকা লোন পাওয়া যায় “Bkash” এবং e-Rin থেকে। এই দুটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে এরপর কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর, আপনি অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ১০ হাজার টাকা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে এবং ই ঋণ থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার জন্য বেশ কিছু তথ্য দিয়ে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে এবং লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। যদিও এই দুটি প্রতিষ্ঠান ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খুব সহজে লোন প্রদান করে থাকে। কিন্তু, এই লোন গুলো সবাই নিতে পারে না। কারণ, অনেক গুলো শর্তের মাধ্যমে যেতে হয়। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে এবং ই ঋণ থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি করতে হবে সমস্ত বিষয় উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার সুবিধা

  • অনলাইনে আবেদন করে আপনি খুব দ্রুত লোন পেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল লোনের জন্য কোন ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজনও নেই।
  • এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক—আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের মোবাইল লোনের বিকল্প রয়েছে, তাই আপনার চাহিদা অনুযায়ী বেছে নেওয়া সহজ।
  • এছাড়া, অনলাইন মোবাইল লোনের সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম, যা আরও একটি সুবিধা।

অনলাইন মোবাইল লোন নিতে চাইলে প্রথমে একটি লোন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। বাজারে অনেক জনপ্রিয় লোন অ্যাপ আছে, যেমন bKash, Nagad, Shohoz ইত্যাদি।

অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর, আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। এরপর, আপনার পছন্দের মোবাইলটি নির্বাচন করে লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

আপনার আবেদন যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে লোনের টাকা আপনার মোবাইল অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এরপর, সেই টাকা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের মোবাইল কিনতে পারবেন।

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

আজকাল অনলাইনে লোন পাওয়া খুবই সহজ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্যাংক, এনবিএফআই এবং মোবাইল লোন অ্যাপের মাধ্যমে আপনি দ্রুত লোন নিতে পারেন।

অনলাইনে লোন পাওয়ার জন্য যা করতে হবে:

১. লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বেছে নিন:
প্রথমে আপনাকে একটি বিশ্বস্ত লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। বাজারে অনেক জনপ্রিয় অপশন রয়েছে, যেমন bKash, Nagad, AB Bank, BRAC Bank ইত্যাদি।

২. আবেদনপত্র পূরণ করুন:
লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট নির্বাচনের পর, একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, আয়ের উৎস, এবং কর্মক্ষেত্র দিতে হবে।

৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন:
কিছু লোন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে আপনাকে কিছু কাগজপত্র আপলোড করতে হতে পারে, যেমন আয়ের প্রমাণ, কর্মস্থলের পরিচয়পত্র, এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৪. আবেদন জমা দিন:
সবকিছু ঠিকঠাক হলে, আপনার আবেদন জমা দিতে পারবেন।

৫. আবেদন যাচাই:
আবেদন জমা দেওয়ার পর, লোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করবে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে লোনের টাকা আপনার মোবাইল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

FAQ

বিকাশ থেকে কি একসাথে দুইবার লোন নেওয়া যাবে?

না, বিকাশ থেকে শুধু একবার লোন নেওয়া যায়। একসাথে দুই বার লোন নেওয়া যাবে না। তবে, পূর্বের লোন পরিশোধ করার পর আবার পুনরায় লোন নেওয়া যাবে।

বিকাশ লোন নিতে কি লাগে?

বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি বৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য একাউন্ট ছাড়া আর কিছু প্রয়োজন হয় না।

রেপিড ক্যাশ অ্যাপ থেকে কি লোন পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, রেপিড ক্যাশ গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা লোন দিয়ে থাকে। তবে, রেপিড ক্যাশ তার গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে। এছাড়া, কম সুদে লোন দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের থেকে কয়েক গুণ টাকা হাতিয়ে নিত। তাই রেপিড ক্যাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নেয়া যায়?

বিকাশের একজন নিয়মিত বা যোগ্য গ্রাহক ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারে। বিকাশে লোন পাওয়ার জন্য বেশি বেশি বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। সেন্ড মানি এবং ক্যাশ আউট এই দুটি যে সকল গ্রাহক বেশি বেশি করে থাকে তাদের লোন সিস্টেম চালু হয়ে যায় যা তারা যোগ্য হিসেবে ধরা হয়।

বিকাশ লোন পরিশোধ না করলে কি হয়?

আপনি যদি বিকাশে লোনের কিস্তি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করেন তাহলে আপনার লোনের পরিমাণের উপর বার্ষিক ২% হারে জরিমানা আরোপ করবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন।

ইন্টারনেট ছাড়া বিকাশ থেকে কিভাবে টাকা বের করব?

ইন্টারনেট ছাড়া বিকাশ থেকে টাকা তোলার জন্য আপনাকে ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে ডায়াল করতে হবে *247# এরপর আপনি সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি সকল কিছু করতে পারবেন। আপনি যদি অ্যাপ ছাড়া বিকাশ ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে ও আপনাকে *247# এই কোডটি ব্যবহার করতে হবে।

অনলাইন লোনের সুদের হার কেমন?

অনলাইন লোনের সুদের হার ব্যাংকের লোনের তুলনায় সাধারণত কম হয়, তবে এটি নির্ভর করে লোনের পরিমাণ এবং শর্তাবলীর উপর।

কি কারণে অনলাইন লোন আবেদন অস্বীকৃত হতে পারে?

আপনার ক্রেডিট ইতিহাস খারাপ হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পূর্ণ না হলে, অথবা আপনার আয় যদি লোনের পরিমাণের সাথে মিল না খায়, তাহলে আবেদন অস্বীকৃত হতে পারে।

কি ধরনের লোন অনলাইনে পাওয়া যায়?

অনলাইনে ব্যক্তিগত লোন, মোবাইল লোন, শিক্ষার্থীদের জন্য লোন, এবং ব্যবসায়িক লোনসহ বিভিন্ন ধরনের লোন পাওয়া যায়।

অনলাইন মোবাইল লোন – শেষ কথা

আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে লোন নেওয়ার সম্পর্কে এই আর্টিকেলে জনপ্রিয় দুটি অ্যাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনি এই দুটি অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে লোন নিতে পারবেন। লোন নিতে কোন অসুবিধা হলে আমাদের মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে জানাতে পারেন।

Leave a Comment