সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় – বাংলাদেশের অনেক নাগরিক কাজের খোঁজে এবং জীবিকা অর্জনের জন্য বিদেশে চলে যান। সরকারীভাবে বিদেশ ভ্রমণ করা এই প্রক্রিয়ায় দ্রুততম উপায়। আজকের আলোচনায় আমরা জানব কীভাবে সরকারিভাবে বিদেশে যাবেন এবং কিভাবে এজেন্ট ছাড়া চাকরির জন্য আবেদন করবেন।
রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি বিদেশে যান, কিন্তু এই ভ্রমণের সময় দালালের প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই, কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্ক্যাম এড়ানোর জন্য সরকারিভাবে ভ্রমণ করা সবচেয়ে ভালো উপায়।
বিদেশ ভ্রমণের আগে, আপনাকে জানা উচিত কোন দেশগুলোতে সরকারিভাবে যাওয়া যায়। আসুন, এবার আমরা আলোচনা করি সেই সব দেশের ব্যাপারে।
Table of Contents
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশ রয়েছে যেখানে সরকারী ব্যবস্থাপনায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সাধারণত, নিম্নলিখিত দেশগুলোতে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানো হয়:
- মালয়েশিয়া: শ্রমিকদের জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে এবং এটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
- কাতার: নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।
- সৌদি আরব: শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে।
- সংযুক্ত আরব আমিরাত: ব্যবসা এবং পরিষেবা খাতে বাংলাদেশী কর্মীরা প্রচুর কাজ করেন।
- ওমান: শ্রমিকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য।
- বাহরাইন: এখানে বিভিন্ন কর্মসংস্থান সুযোগ রয়েছে।
- কুয়েত: কুয়েত একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ যা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। এখানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে নির্মাণ, পরিষেবা, ও গৃহকর্মে কাজের সুযোগ রয়েছে।
- সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুর একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে প্রযুক্তি, নির্মাণ, এবং সেবা খাতে।
- মিসর: কিছু কাজের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নির্মাণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে।
সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি এই দেশগুলোতে যেতে পারেন এবং এজেন্ট ছাড়া সরাসরি আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে প্রায় ১৭২টি দেশে কাজের ভিসায় যাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রোমানিয়া, কুয়েত ও সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশের নাম রয়েছে। এই সব তথ্য খুব সহজে জানতে পারবেন “Ami Probashi” অ্যাপের মাধ্যমে।
চলতি বছরে, সরকারিভাবে যেসব দেশে ভ্রমণ করা যায়, সেই দেশগুলোর নাম নিচে তালিকা আকারে উল্লেখ করা হলো। এই সুবিধা নিয়ে আপনি সহজেই বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ওমান | কাতার |
মালয়েশিয়া | সৌদি আরব | বাহারাইন |
কুয়েত | ইটালি | সিঙ্গাপুর |
জর্ডান | মালদ্বীপ | লিবিয়া |
রোমানিয়া | যুক্তরাজ্য | ব্রুনাই দারুসসালাম |
যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রান্স | জ্যামাইকো |
কানাডা | অস্ট্রেলিয়া | দক্ষিণ কোরিয়া |
ডেনমার্ক | কম্বোডিয়া | লেবানন |
ভারত | সুইজারল্যান্ড | মরিশাস |
ফিনল্যান্ড | নিউজিল্যান্ড | শ্রীলঙ্কা |
ইরাক | চীন | জাপান |
থাইল্যান্ড |
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি আপনি সরকারিভাবে বিদেশে যেতে চান, তাহলে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে “AMI PROBASHI” অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এরপর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট দিয়ে যে দেশে যেতে চান, সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন।
অ্যাপে আপনি জানতে পারবেন, কোন দেশে যেতে চান এবং সেখানে কাজের জন্য বেতন কত হবে, কতদিন কাজ করতে পারবেন—এ সকল তথ্য। আবেদন করার পর আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হবে।
যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজে আপনার দক্ষতার প্রমাণপত্রও দিতে হবে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হবে। সফল হলে, আপনি সরকারিভাবে বিদেশে যেতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ায় দালাল বা ভিসা এজেন্টের প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন: কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট আছে, যার ঠিকানা হচ্ছে https://probashi.gov.bd। এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনি সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি খুবই ব্যবহারবান্ধব, যেখানে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পাবেন।
এছাড়াও, গুগল প্লে স্টোর থেকে “Ami Probashi” অ্যাপটি ইনস্টল করে আপনার স্মার্টফোন থেকেই আবেদন করতে পারেন। এই অ্যাপটি আপনার বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দেবে। অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কাজের সুযোগ, বেতন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জানতে পারবেন।
যদি বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটি খুবই সুবিধাজনক এবং নিরাপদ উপায়, যেখানে দালাল বা ভিসা এজেন্টের প্রয়োজন পড়বে না।
সুতরাং, সময় নষ্ট না করে এখনই ওয়েবসাইটে যান বা অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করুন!
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে বিদেশে যেতে গেলে আপনার খরচ হবে ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পাসপোর্ট ফি, ভিসা আবেদন ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমানের টিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি। এই সব খরচ মিলিয়ে মোট খরচ ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে চলে আসে।
যদিও সরকারিভাবে যাওয়ার খরচ এতটুকু, কিন্তু যদি আপনি দালাল বা ভিসা এজেন্টের সাহায্য নেন, তাহলে খরচ বেড়ে গিয়ে ৬-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তাই, যদি আপনি একটি বিদেশি দেশে কাজ করতে চান এবং সেখানে ওয়র্ক পারমিট নিয়ে যেতে চান, তাহলে সরকারের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করা সবচেয়ে ভালো।
সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাবেন বলে আপনি একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ পথ পাবেন। কোনো ধরনের জালিয়াতি বা প্রতারণার ঝুঁকি থাকবে না। তাই, সময় নষ্ট না করে, প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন এবং আপনার বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যান!
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণ করা, কিংবা সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করা। এই পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এবং সার্কুলার আপনি “Ami Probashi” অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই পেতে পারেন।
অন্যদিকে, যদি আপনি সরকার অনুমোদিত এজেন্সি ছাড়া কোনো দালালের সাহায্য নেন, তাহলে পরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অনেক সময় এই দালাল চক্রগুলি মানুষকে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়, আর এরপর আর্থিক বা আইনি জটিলতায় পড়তে হয়।
এজন্য, বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সবসময় চেষ্টা করুন সরকারিভাবে অথবা সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করার। এটি শুধু নিরাপদ নয়, বরং আপনার জন্য একটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে। আপনার স্বপ্নের দেশে যাওয়ার পথে এই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে নিরাপদে এবং সুনিশ্চিতভাবে এগিয়ে যান!
আরো পড়ুন: কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ
বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সেটা যেন বৈধ এবং নিরাপদ হয়, সেটির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমেই লাভ এবং ক্ষতির একটা হিসাব করে নিন, এরপর সিদ্ধান্ত নিন বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে।
আপনার স্থানীয় ডিইএমও-তে ডাটাবেজে নাম নিবন্ধন করুন। যে দেশে যেতে চান, সেখানকার ভাষা সম্পর্কে ধারণা নিন এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজের দক্ষতা অর্জন করুন। নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার জন্য সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের সাহায্য নিন।
পাসপোর্টটি নিজেই রাখুন এবং ভিসা সংগ্রহ করার পর যাচাই করে নিন। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার আগে ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে করান। ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ভুলবেন না।
বিদেশে যাওয়ার আগে ৩ দিনের প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন। আর যাত্রার আগে ২টি ব্যাংক হিসাব খুলে নিন। বিএমইটির স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে ভুলবেন না। সব কাগজপত্রের ৩-৪টি করে ফটোকপি তৈরি করুন, যেন যাত্রার সময় কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।
সবশেষে, ভালোভাবে সব নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে যাত্রা শুরু করুন। এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চিন্তে বিদেশে যেতে পারবেন!
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগের তথ্য পেতে পারেন “AMI PROBASHI” অ্যাপ এবং https://probashi.gov.bd ওয়েবসাইটে। এই দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করে সহজেই আবেদন করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করা সম্ভব।
প্রতি মাসেই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। যদি আপনি বিনা খরচে বা অল্প খরচে ওয়র্ক পারমিট নিয়ে বিদেশ যেতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আবেদন করতে পারেন। এভাবে নিরাপদে এবং সুষ্ঠুভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
FAQ
সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে?
সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং মিসরসহ বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে কোথায় যেতে পারি?
আপনি সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে উল্লেখিত দেশগুলোতে, পাশাপাশি কুয়েত ও সিঙ্গাপুরেও যেতে পারেন।
বিদেশে যাওয়ার জন্য কি কোনো বিশেষ ডকুমেন্ট লাগবে?
হ্যাঁ, বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিসা দরকার।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করব?
আপনি “AMI PROBASHI” অ্যাপ বা https://probashi.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আপনার সব ডকুমেন্ট সেখানে জমা দিতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার সময় কি কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন?
হ্যাঁ, বিদেশে যাওয়ার আগে প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। এটি আপনাকে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।
কি কারণে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়া ভালো?
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়া নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং দালালদের দ্বারা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। আপনি সরাসরি সরকারের মাধ্যমে যাবেন, যা আপনার অধিকারকে সুরক্ষিত রাখবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে?
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সাধারণত ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে খরচ হয়ে থাকে। এতে পাসপোর্ট, ভিসা, বিমানের টিকেট এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সুবিধা কি?
দালাল ছাড়া বিদেশে গেলে আপনি বাড়তি খরচ এবং প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন। এছাড়া, সরকারের মাধ্যমে আবেদন করলে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং নিরাপদ হয়।
বিদেশে যাওয়ার জন্য কোন ধরনের কাজের সুযোগ আছে?
বিভিন্ন দেশে নির্মাণ, স্বাস্থ্য, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, গৃহকর্ম, কৃষি এবং প্রযুক্তি খাতে কাজের সুযোগ রয়েছে।
কি ধরনের মেডিকেল পরীক্ষা করাতে হবে?
বিদেশে যাওয়ার জন্য সাধারণত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, যাতে আপনার শারীরিক অবস্থার নিশ্চয়তা থাকে। এটি দেশের নিয়মের ওপর নির্ভর করে।
বিদেশে যাওয়ার পর আমি কি ধরনের সহযোগিতা পাবো?
বিদেশে গেলে সাধারণত আপনার নিয়োগকর্তা আপনাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সহযোগিতা করে থাকে।
বিদেশে যাওয়ার আগে কিভাবে প্রস্তুতি নেবো?
বিদেশে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করুন, সেখানে কাজের দক্ষতা উন্নত করুন, এবং সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন।
বিদেশে যাওয়ার পর কি ধরনের জীবনযাত্রার আশা করতে পারি?
বিদেশে যাওয়ার পর আপনার জীবনযাত্রা গন্তব্য দেশের অবস্থান এবং কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভালো বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তবে জীবনযাত্রার মান ভিন্ন হতে পারে।
সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া কতটা সময় নেয়?
আবেদন প্রক্রিয়া এবং ভিসার অনুমোদনের সময় বিভিন্ন দেশের নিয়মের ওপর নির্ভর করে, তবে সাধারণত ১ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে।
উপসংহার
বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া এখন আর খুব কঠিন নয়, বিশেষ করে যদি আপনি সরকারিভাবে অথবা সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে যান। বিভিন্ন দেশের চাকরির সুযোগ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য “AMI PROBASHI” অ্যাপ ও probashi.gov.bd ওয়েবসাইট গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
প্রতিটি পদক্ষেপে, যেমন পাসপোর্ট তৈরি, ভিসার আবেদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর, আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়া আপনার জন্য নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
অতএব, যদি আপনি বৈধভাবে এবং নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে এগিয়ে যান। আপনার স্বপ্নের দেশে যাওয়ার পথে সঠিক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে সফলতা নিশ্চিত।