মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত – মালয়েশিয়া সরকার প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা সুবিধা প্রদান করে। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন এবং প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নতুন করে ভিসা গ্রহণের জন্য আবেদন করছেন। মালয়েশিয়া একটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশ, যেখানে কাজের সুযোগ প্রচুর।
মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যার মোট আয়তন ৩২৯,৮৪৫ বর্গকিলোমিটার। দেশের মোট জনসংখ্যা ২৮ মিলিয়নের বেশি, এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক বর্তমানে সেখানে প্রবাসী হিসেবে বাস করছেন।
যারা নতুন করে মালয়েশিয়ায় কাজ, পর্যটন বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ভিসা নিতে চান, তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট, টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার সুযোগ রয়েছে। আজকের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত হতে পারে, তা জানার জন্য এই পোস্টটি লক্ষ্য করুন।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা সাধারণত কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় যান, কিন্তু প্রতি বছর কিছু মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভিজিট ভিসাও নেন। কাজের ভিসা এবং ভিজিট ভিসার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ভিজিট ভিসার খরচ সাধারণত কাজের ভিসার তুলনায় কম।
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়, যার দাম ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আবার কিছু ভিসা ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যেও পাওয়া যেতে পারে। তবে, ভিসা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় সাবধান থাকা দরকার, যাতে প্রতারণার শিকার না হন। তাই ভিসার দাম, খরচ ও আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Table of Contents
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসার দাম সাধারণত নিম্নরূপ:
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা
- টুরিস্ট ভিসা: ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা
- স্টুডেন্ট ভিসা: ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা
- মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (MM2H): ১০ লাখ টাকার বেশি (মেয়াদী ভিসার জন্য)
- ফ্যামিলি ভিসা: ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা
- বিজনেস ভিসা: ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা
- কনফারেন্স ভিসা: ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা
- প্রসেসিং ভিসা: সাধারণত ২ থেকে ৩ লাখ টাকা
দামের উপর বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন এজেন্সি ফি, সেবা চার্জ এবং সরকারের নির্ধারিত ফি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঠিক ও আপডেট তথ্যের জন্য স্থানীয় ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করা উত্তম।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে, মালয়েশিয়ার ভিসার চাহিদা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় অনেক সময় ভিসা পেতে খরচ কয়েক গুণ বেশি হয়ে যায়। কিছু মানুষ দালালের মাধ্যমে কম খরচে যেতে চান, কিন্তু এই অবৈধ উপায়ে যাওয়ার ফলে জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, যদি আপনি নিরাপদ এবং বৈধ উপায়ে যেতে চান, তাহলে মালয়েশিয়া অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। তবে, এতে খরচ আনুমানিক কয়েক লাখ টাকার মতো হতে পারে। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করা জরুরি।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। এখন ভিসা তৈরি করতে সাধারণত ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়। আগে এই খরচ ছিল ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ফলে মালয়েশিয়া যাওয়া ছিল অনেক সহজ।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়, এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচও ভিন্ন ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে। কিছু এজেন্সি এই ভিসার জন্য ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্তও দাবি করতে পারে। তাই, ভিসা নিতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা জরুরি।
মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো
মালয়েশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়, যেমন কোম্পানি ভিসা, এজেন্ট ভিসা এবং ফ্রি ভিসা। প্রতিটির সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, তবে সাধারণভাবে কোম্পানি ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি।
কোম্পানি ভিসা হলে, কোম্পানির মালিক আপনার সমস্ত খরচ বহন করেন—ভিসার প্রক্রিয়া, মালয়েশিয়ায় থাকার খরচ, খাবার, এবং দেশে ফিরে আসার বিমান টিকেট। কিন্তু কিছু কোম্পানি এই সব সুবিধা দেয় না, তাই আগে থেকেই ভালোভাবে তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি।
অনেকের জন্য মালয়েশিয়া কলিং ভিসাও একটি ভালো অপশন হতে পারে। আপনি কোম্পানির নাম এবং তাদের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিলে ভালো হবে।
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরির প্রক্রিয়া এবং বিমান ভাড়া মিলিয়ে সাধারণত একজন ব্যক্তির খরচ ৩ লক্ষ টাকা লাগে। তবে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই খরচ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। আসলে, খরচ অনেকটাই নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরির উপর। কিছু ভিসার ক্ষেত্রে খরচ ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকাও হতে পারে। তাই, পরিকল্পনা করার সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
আরো পড়ুন: সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসার দাম কত
অনেক প্রবাসী ফ্রি ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া এসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মূলত, ফ্রি ভিসা তাদের জন্য ভালো যারা ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় আত্মীয়-স্বজনের কাছে রয়েছেন। কিন্তু যারা নতুন, অর্থাৎ এখানে কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই, তাদের জন্য এই ভিসা সত্যিই বিপদের কারণ হতে পারে।
বেশিরভাগ দালালরা সাধারণ বাংলাদেশীদের লোভ দেখিয়ে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা করে থাকে। ফ্রি ভিসার দাম সাধারণত ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও নেওয়া হয়। তাই, যারা ফ্রি ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের সতর্ক থাকা উচিত।
মালয়েশিয়ায় যেতে সর্বোচ্চ খরচ ৭৮,৯৯০ টাকা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য একজনের সর্বোচ্চ খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
গত মঙ্গলবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কেবল বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ খরচগুলোই বহন করতে হবে। এতে পাসপোর্টের খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমা, স্মার্টকার্ড ফি এবং সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সুতরাং, মালয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য যারা আগ্রহী, তাদের মোট ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নিজেদের খরচ করতে হবে।
২০২১ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার অনুযায়ী, উড়োজাহাজ ভাড়া, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’, বিমা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং করোনার সংক্রমণ পরীক্ষাসহ ১৫টি খাতের খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
এখন, এই নতুন আদেশের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় তাদের পূর্ববর্তী নির্দেশনা বাতিল করেছে, যেখানে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ খরচ ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, জন প্রতি সর্বোচ্চ অভিবাসন খরচের এই নির্দেশনা শিগগিরই কার্যকর হবে। তবে, এখনও নতুন কোনো কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
আরো পড়ুন: কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী, কাজের জন্য কর্মীর সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হবে। তবে, সাধারণত কাজের ধরণ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে মালয়েশিয়ায় কর্মীর বয়সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
যাদের বয়স ২২ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, তারা সাধারণত সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পান। কারণ এই বয়সের মানুষ দ্রুত কাজ করতে পারে, বিশেষ করে ফ্যাক্টরি ভিসার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলো ২২ থেকে ২৫ বছরের তরুণদের বেশি গুরুত্ব দেয়। এ কারণে, তরুণদের জন্য ভিসা প্রসেসিংও সহজ হয়। তবে, এর মানে এই নয় যে, বয়স বেশি হলে আপনি মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না। কোম্পানির নির্দিষ্ট চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বয়স এবং যোগ্যতা শিথীলযোগ্য হতে পারে।
অন্যদিকে, যাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, সাধারণত তারা কলিং ভিসায় বিভিন্ন কাজে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পান। কৃষি কাজের ভিসা পাওয়া তাদের জন্য তুলনামূলকভাবে সহজ হয়, কারণ মালয়েশিয়ায় কৃষি কাজে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং মজুরিও গ্রহণযোগ্য। তাই, যদি আপনার যোগ্যতা সঠিক হয়, তবে বয়স নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। জেজি আলফালাহ আপনার নির্ভরতার নিশ্চিন্ত প্রতীক হতে পারে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি, বিমান ভাড়া, হোটেল বুকিংসহ সব মিলিয়ে খরচ সাধারণত ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে টুরিস্ট ভিসার ধরন, আবেদনের সময় এবং এজেন্টের উপর ভিত্তি করে এই খরচের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি সাধারণত ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকার মধ্যে থাকে। তাই আবেদন করার পর অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে, মোট খরচ ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে পড়বে। সুতরাং, পরিকল্পনা করার সময় এসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম মূলত সিঙ্গেল এন্ট্রি বা মাল্টিপল এন্ট্রির উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। সাধারণত, সিঙ্গেল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসার দাম কম থাকে।
স্বাভাবিকভাবে, আপনি ৫০ হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে টুরিস্ট প্যাকেজ পেয়ে যেতে পারেন, তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
তবে মনে রাখতে হবে, ভিসার ধরন এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে এই দাম পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ, নূন্যতম টুরিস্ট ভিসা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় এবং সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কি কি লাগে
মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সঠিক কাগজপত্র থাকলে যে কোন ভিসা পাওয়া সম্ভব, তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী এই কাগজপত্রগুলো আলাদা হতে পারে।
টুরিস্ট ভিসার জন্য যা যা লাগবে, তা হলো:
- বৈধ পাসপোর্ট (যার মেয়াদ ০৬ মাস থাকতে হবে)
- ভিসা আবেদন ফরম
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি
- ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি
- রিটার্ন বিমান টিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে)
- হোটেল বুকিং কপি
- রেফারেন্স লেটার (যদি কারো আমন্ত্রণে যাচ্ছেন)
বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভ্রমণ পিপাসু, তাই কম খরচে ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়া একটি দুর্দান্ত স্থান। চেষ্টা করুন মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার প্যাকেজ ক্রয় করতে, এতে করে কম টাকায় ভালো জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে কম খরচের টুরিস্ট ভিসার প্যাকেজও পাওয়া যায়।
অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই ই-সেবা অ্যাপস বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন: https://www.imi.gov.my/।
এখান থেকে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে এজেন্সির মাধ্যমে জমা দিন। আপনি মালয়েশিয়া ই-ভিসা বা বিএমইটির অফিস থেকেও আবেদন করতে পারেন। টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি সাধারণত ৫০০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন; কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
FAQ
মালয়েশিয়া কৃষি ভিসার দাম কত?
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কৃষি কাজের জন্য যাওয়ার সংখ্যা খুব কম। তবে, বাংলাদেশ থেকে কৃষি ভিসার খরচ সাধারণত ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। যদি দালালদের মাধ্যমে কৃষি ভিসা নিতে চান, তাহলে দাম একটু বেশি পড়বে। তাহলে, যদি আপনি কৃষি কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে আগে থেকে খরচ ও অন্যান্য বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নেয়া ভালো।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট বা ছাত্র ভিসার দাম কত?
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে একদম ফ্রিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। তবে অনেকেই বিভিন্ন স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করিয়ে থাকেন। মালয়েশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সাধারণত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, এবং কিছু ক্ষেত্রে এই খরচ ৩ লক্ষ টাকাও হতে পারে। তাহলে, যদি আপনি মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে খরচ এবং ভিসার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানিয়ে নেওয়া জরুরি।
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার দাম কত?
মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া কোম্পানি ভিসার দাম সাধারণত ন্যূনতম ২ লাখ টাকা হয়। তবে, কোম্পানির কাজের ধরন এবং বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে। তাহলে, বলাই যায়, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির ভিসার দাম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে। তাই যেকোনো কোম্পানির ভিসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা ভালো।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা দাম কত?
মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া কোম্পানি ভিসার দাম সাধারণত ন্যূনতম ২ লাখ টাকা হয়। তবে, কোম্পানির কাজের ধরন এবং বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে। তাহলে, বলাই যায়, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির ভিসার দাম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে। তাই যেকোনো কোম্পানির ভিসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা ভালো।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত?
মালয়েশিয়া ভিসার দাম সাধারণত ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে, এটি ভিসার ধরন এবং কোম্পানি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
কি কারণে ভিসার দাম ভিন্ন হতে পারে?
ভিসার দাম ভিন্ন হতে পারে কারণ এটি ভিসার ধরন, আবেদনকারী কোম্পানি, আবেদন পদ্ধতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের উপর নির্ভর করে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কেমন?
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং এবং রিটার্ন টিকেট অন্তর্ভুক্ত।
কি কারণে দালালদের মাধ্যমে ভিসা নিতে গেলে খরচ বাড়ে?
দালালদের মাধ্যমে ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ এবং কমিশন দেওয়া হয়, যা মূল ভিসা খরচের সঙ্গে যোগ হয়। এর ফলে খরচ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য সাধারণত বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফরম, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিমান টিকেট এবং হোটেল বুকিং এর প্রয়োজন হয়। ভিসার ধরন অনুযায়ী কাগজপত্রের তালিকা আলাদা হতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার সময় কতটা লাগে?
মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার সময় সাধারণত ৩ থেকে ৭ কার্যদিবস লাগে। তবে এটি আবেদনকারী কোম্পানি এবং ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
কি ধরনের কাজের জন্য মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়া যায়?
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ভিসা পাওয়া যায়, যেমন কোম্পানি ভিসা, ফ্রি ভিসা, কলিং ভিসা এবং কৃষি ভিসা। প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা প্রয়োজনীয়তা এবং খরচ রয়েছে।
কীভাবে ভিসার খরচ কমানো যায়?
ভিসার খরচ কমানোর জন্য সরকারী প্যাকেজ, প্রমোশনে চোখ রাখা, সরাসরি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং দালালদের ব্যবহার এড়ানো একটি কার্যকর পন্থা হতে পারে।
শেষ কথা
মালয়েশিয়া ভিসার দাম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানালে বোঝা যায় যে, বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য খরচ এবং প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। স্টুডেন্ট, টুরিস্ট, কোম্পানি, এবং কৃষি ভিসার জন্য আলাদা আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া এবং কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সরকারিভাবে ফ্রি ভিসা পাওয়ার সুযোগ থাকলেও, দালালদের মাধ্যমে যাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। সঠিক তথ্য ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি কম খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। তাই আগে থেকেই বিস্তারিত জেনে নেয়া এবং সঠিক পন্থা অবলম্বন করা জরুরি।