ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে যাওয়ার জন্য একজন মানুষের অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। বিশেষ যে দেশের নাগরিক ঐ দেশের একটি বৈধ পাসপোর্ট অবশ্যই লাগবে। আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট করার নিয়ম।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারণা থাকে না যার ফলে পাসপোর্ট তৈরি করার সময় তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকে মনে করে শুধু বিদেশ যাওয়ার জন্য একটি পাসপোর্ট লাগে। অনেকেই জানে না IELTS পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার জন্যেও একটি পাসপোর্ট লাগে। শুধু তাই নয় বিশ্বের বড় বড় ই কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে পণ্য কেনার সময় ও পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন: আপনি যদি ডলার দিয়ে কোন কিছু কিনতে চান সেক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু সময় পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়।
সব মিলিয়ে একজন নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। তাই আজকের এই আর্টিকেল-এ passport korte ki ki lage, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি এই একটি আর্টিকেল থেকে পাসপোর্ট সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। অনুরোধ করব আর্টিকেল টা শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
Table of Contents
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশের সরকারি epassport.gov.bd অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ই পাসপোর্ট করতে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি , জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং, পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে), সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (যদি থাকে), পেমেন্ট স্লিপ, এবং আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি লাগবে। এছাড়া, যদি শিশুদের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগবে। এগুলোও ছাড়াও তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে যদি থাকে তাহলে। ই পাসপোর্ট করতে এর চাইতে বেশি কিছু লাগবে না। তবে ব্যক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে, তবে সবার ক্ষেত্রে না। বিশেষ কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশের যেকোনো বয়সের ব্যক্তিরা চাইলে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারে। তবে, ১৮ বছর বা বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন নং, সরকারি চাকরিজীবী হলে GO/NGO (যদি থাকে) এবং আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি লাগবে। আর যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং NID Card নেই তাদের ক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাদের NID Card নেই তাদের ক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন নং লাগবে। ২০ বছরের উপরে হলে অবশ্যই NID Card লাগবে। এগুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে, তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। তাহলে এক নজরে জেনে নিন বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
- শিশুদের পাসপোর্ট
- প্রাপ্ত বয়স্কদের পাসপোর্ট
- সরকারি/বেসরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট
শিশুদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | ২০ বছরের নিচে NID Card যাদের নেই
- আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
- ৬ বছরের নিচে শিশুদের 3R সাইজের ছবি
- পেশা অনুযায়ী বিভিন্ন কাগজপত্র (যদি থাকে)
- টিকা কার্ড (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
- ১৮ বছরের নিচে ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে ৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
- পেমেন্ট স্লিপ
আরো পড়ুন: অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
প্রাপ্ত বয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে | ১৮ বছরের উপর
- আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
- ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই (BRC English Version) অনুযায়ী
- যাদের বয়স ২০ বছর তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) বাধ্যতামুলক
- বিবাহিত হলে নিকাহনামা (প্রয়োজন হলে)
- ৬৫ বছরের উপরের ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে ৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
- পেমেন্ট স্লিপ
সরকারি/বেসরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে
- আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ প্রয়োজন হবে। যেমন: (ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি)
- সরকারী চাকরিজীবী হলে GO (Government Order) অথবা NOC (No Objection Certificate) সাবমিট করতে হবে (যদি থাকে)
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
- পেমেন্ট স্লিপ
NOC: এর পূর্ণরূপ হলো “No Objection Certificate”। এটি হলো একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট বা প্রত্যয়নপত্র। সাধারণত চাকরি পরিবর্তন, সম্পত্তি লেনদেন, শিক্ষাগত উদ্দেশ্য ও দেশের বাইরে চাকরি বা পড়াশোনার জন্য NOC বা No Objection Certificate প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, NOC বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
GO: সাধারণত সরকারি কোন কাজে দেশের বাইরে যেতে হলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট করার সময় Government Order বা GO দাখিল করতে হয়। সরকারের বিভিন্ন কাজে GO বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন; বিভিন্ন প্রকল্প বা কার্যক্রমের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে, নীতিমালা প্রণয়ন করতে, সরকারি নিয়োগ ও পদোন্নতি করতে, বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও লাইসেন্সের জন্য Government Order বা Go লাগে।
পাসপোর্ট করতে মোটামুটি উপরের এই কয়েকটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। এখন জেনে নিন পাসপোর্ট করার নিয়ম, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং ডাউনলোড করুন ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম।
আরো পড়ুন: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম: অনলাইনে বা অফলাইনে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই একটি ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম (Registration Form) লাগবে। আবেদন ফরম (Registration Form) টি সাধারণত ২ পাতার হয়ে থাকে। এই ২ টি পাতায় আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। যেমন: নাম, ঠিকানা, জন্ম নিবন্ধন নং, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, ইত্যাদি।
- আবেদন পত্রের সারাংশ: ই পাসপোর্ট তৈরি করার সময় Application Summary অবশ্যই জমা দিতে হবে। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই আবেদন ফরম গুলো আপনি epassport.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র: পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card) বাধ্যতামূলক। যাদের বয়স ১৮-২০ এর মধ্যে এবং NID Card নেই তাদের ক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। তবে, ২০ বছরের উপরে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে NID Card বাধ্যতামূলক। NID Card না থাকলে সেক্ষেত্রে Birth Certificate অবশ্যই লাগবে। আপনি NID Card বা Birth Certificate যেটা দিয়েই পাসপোর্ট বানান না কেন আপনাকে অবশ্যই সেটার তথ্য অনুসারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে, অন্যথায় আপনি বিপদে পড়বেন। যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্টের তথ্যের সাথে না মিলে তাহলে আপনি রিনিউ করতে পারবেন না। যদি আপনার সাথে এমন হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই, আপনাকে আবার পাসপোর্ট সংশোধন করে নিতে হবে।
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র: যদি আপনার জাতীয় পরিচয় না থাকে তাহলে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামুলক।
- নাগরিক সনদ: নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার সময় কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট/নাগরিক সনদ এর কপি জমা দিতে হবে।
- NOC/GO: সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে NOC (No Objection Certificate) অথবা GO (Government Order) প্রয়োজন হবে। যারা সরকারি কাজে বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করবে তাদের অবশ্যই Government Order আর যারা সরকারি চাকরিজীবী এবং নিজ প্রয়োজনে পাসপোর্ট করবেন তাদের No Objection Certificate প্রয়োজন হবে।
- প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, হিসাবরক্ষক, ড্রাইভার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ, পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে সনদ বা আইডি কার্ডের কপি জমা করতে হবে।
- স্বামী না স্ত্রীর নাম: আপনি যদি পাসপোর্টে Spouse Name যুক্ত করতে চান তাহলে স্বামী বা স্ত্রীর আইডি কার্ড জমা দিতে হবে। অনেক সময় কাবিন নামার কপি জমা দেওয়া লাগতে পারে (যদি প্রয়োজন হয়)।
- পেমেন্ট স্লিপ: যে কোন ব্যাংক বা Online Mobile Banking ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের Automated Challan এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ৪০২৫ টাকা থেকে ৮৬২৫ টাকা লাগবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ৫৭৫০ টাকা থেকে ১০৩৫০ টাকা লাগবে। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ৬৩২৫ টাকা থেকে ১২০৭৫ টাকা লাগবে। ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ৮০৫০ টাকা থেকে ১৩৮০০ টাকা লাগবে।
বছর | পেজ | রেগুলার | ডেলিভারি | সুপার |
---|---|---|---|---|
৫ | ৪৮ | ৪০২৫ | ৬৩২৫ | ৮৬২৫ |
১০ | ৪৮ | ৬৩২৫ | ৮৬২৫ | ১০৩৫০ |
৫ | ৬৪ | ৬৩২৫ | ৮৬২৫ | ১২০৭৫ |
১০ | ৬৪ | ৮০৫০ | ১০৩৫০ | ১৩৮০০ |
আরো পড়ুন: জনতা ব্যাংক কি সরকারি
FAQ
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
অনেক সময় বিবাহিত হলে পাসপোর্ট করতে বিবাহিতদের নিকাহনামা প্রয়োজন হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। এটি ছাড়া অন্যান্যদের দের মতো বিবাহিতদের ও পাসপোর্ট করতে একই কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যেমন: Registration Form, NID Card/BRC, NOC/GO, Payment Slip ইত্যাদি।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে?
পাসপোর্ট করতে শিশুদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ১৮ বছরের উপর প্রাপ্তবয়স্ক দের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, আবেদন ফরম, পেমেন্ট স্লিপ ইত্যাদি। ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে ৪০২৫ টাকা থেকে ১২০৭৫ টাকা এবং ১০ নিচে মেয়াদি পাসপোর্ট করতে ৬৩২৫ টাকা থেকে ১৩৮০০ টাকা থেকে লাগে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই ১৮ বছরের উপর এবং ৬৫ বছরের নিচে বয়সী হতে হবে। ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদন ফরম, পেমেন্ট স্লিপ, প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ এই সাধারণ কাগজপত্র গুলো লাগবে।
এনআইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা যাবে?
হ্যাঁ এনআইডি কার্ড ছাড়া ও পাসপোর্ট তৈরি করা যাবে। তবে ২০ বছরের উপর বয়সীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি করার সময় এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। ২০ বছরের নিচে আবেদনকারী চাইলে NID Card ছাড়াও জন্ম নিবন্ধন এবং বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শেষ কথা – Passport Korte Ki Ki Lage
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সকল কিছু এই আর্টিকেলে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। খেয়াল রাখবেন ব্যক্তি অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। যেমন: কারো যদি আগে পাসপোর্ট করা থাকে তাহলে তার কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে, তেমনি কারো যদি আগে আইনি ঝামেলা থাকে তাহলে তারও কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। এভাবে ব্যক্তি ও পেশার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় আপনার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কেউ যদি পাসপোর্ট বানিয়ে থাকে তাহলে আপনি তার থেকে জেনে নিন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।