পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার পর যদি দেখেন আপনি শারীরিক ভাবে ফিট আছেন তাহলে আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য। আপনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে, তারপর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই শারীরিক ভাবে ফিট হওয়া লাগবে যদি আপনি ভিসা পেতে চান। সে কারণে ভিসা আবেদন করার সময় আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার প্রয়োজন হয়। আর, মেডিকেল টেস্ট করার পর মেডিকেল রিপোর্ট এ কি আসছে সেটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই Medical Report Check করতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার মাধ্যমে আপনি আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ভিসা পাবেন কিনা পাবেন না সেটা ও জানতে পারবেন।
কিছু কিছু দেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট না করলেও চলবে। কিন্তু, কিছু কিছু দেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। যেমন; সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক, মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা বাধ্যতামূলক। এই ভাবে মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া অনেক দেশের ভিসা পাওয়া অনেক অনেক কঠিন। এমনিতে ও মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে বুঝা যায় যে আপনি ঐ দেশে বসবাস ও কাজ করতে শারীরিক ভাবে সক্ষম। যদি আপনার শরীরে সংক্রামক রোগের উপস্থিতি থাকে তাহলে সেটি ঐ দেশের মানুষের জন্যে ও হুমকি। দেশ এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভিসা করার সময় মেডিকেল টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় দেশে।
বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরে অনেক গুলো এজেন্সি রয়েছে যারা মেডিকেল চেকআপ করিয়ে থাকে। মেডিকেল পরীক্ষা দেওয়ার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আবেদনকারী মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেয়ে থাকে। এছাড়াও আবেদনকারী চাইলে অনলাইন ফ্রি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে এবং ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য কিনা সেটা নিশ্চিত হতে পারে। আশা করি এতক্ষণ যা বলা হয়েছে এগুলো সম্পর্কে আপনি আগে থেকে জানেন। তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক Passport Number দিয়ে medical report check করার নিয়ম সম্পর্কে।
Table of Contents
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য প্রথমে wafid.com এই লিংকে ক্লিক করুন। তারপর, Your Medical Examinations Results এই পেজে আপনি আপনার Passport Number প্রদান করুন এবং Nationality সিলেক্ট করুন। এরপর, একটি ক্যাপচা রয়েছে সেটি পূরণ করুন এবং Check বাটনে ক্লিক করে আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করুন। আপনি চাইলে স্লিপ নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার কাছে যদি Wafid Slip Number থাকে তাহলে আপনি Passport Number এটি চেঞ্জ Wafid Slip Number এ টিক চিহ্ন টিতে চাপ দিন এরপর Wafid Slip Number প্রদান করুন এবং Nationality সিলেক্ট করে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করুন।
অনেকের ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি টি কাজ করতে নাও পারে। কারণ, যারা সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করে মূলত তারাই এই পদ্ধতিতে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করে থাকে। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি যে দেশের ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেই দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হয়।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
স্লিপ নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
যদি আপনার কাছে পাসপোর্ট নম্বর না থাকে তবে স্লিপ নম্বর দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারেন। এজন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে দ্বিতীয় অপশন অর্থাৎ “Wafid Slip Number” বেছে নিতে হবে। এরপর আপনার স্লিপ নম্বর এবং ক্যাপচা পূরণ করে সহজেই আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
Wafid slip number দিয়ে রিপোর্ট চেক
- প্রথমে পূর্বের মতো ওয়েবসাইটে যান।
- তারপর “Wafid Slip Number” অপশনটি নির্বাচন করুন।
- এখন আপনার GCC স্লিপ নম্বরটি প্রবেশ করান।
- এরপর “Check” বাটনে ক্লিক করুন।
- এতে আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পাবেন।
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
- কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে প্রথমে qatarmedicalcenter.com/status-check ওয়েবসাইটে যান।
- প্রথম ঘরে ভিসা নম্বর এবং দ্বিতীয় ঘরে পাসপোর্ট নম্বর প্রবেশ করান।
- তারপর “I’m not a robot” অপশনটি সিলেক্ট করে ক্যাপচা পূরণ করুন।
- সবশেষে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন, আর তাতেই আপনার কাতার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক সৌদি
সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হলে প্রথমে wafid.com/medical-status-search/ ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর, আপনি পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেখতে চান নাকি Wafid Slip নম্বর দিয়ে চেক করবেন, তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর পাসপোর্ট নম্বর বা স্লিপ নম্বর প্রবেশ করিয়ে “Check” বাটনে ক্লিক করলেই সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক
মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus ওয়েবসাইটে যান। সেখানে পাসপোর্ট নম্বর লিখে, নিচে থেকে “Bangladesh” নির্বাচন করুন। এরপর ডান পাশে থাকা “Search” বাটনে ক্লিক করুন। এভাবেই আপনি মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
গামকা মেডিকেল রিপোর্ট চেক
গামকা মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে wafid.com/medical-status-search/ ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট নম্বর বা স্লিপ নম্বর দিয়ে রিপোর্ট চেক করতে চান, তা বেছে নিতে হবে। স্লিপ নম্বর দিয়ে রিপোর্ট দেখতে চাইলে, স্লিপ নম্বরটি লিখে “Check” বাটনে ক্লিক করুন, আর তখনই আপনার গামকা মেডিকেল রিপোর্ট দেখা যাবে।
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে গামকা মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে চাইলে, “By Passport Number” অপশনটি সিলেক্ট করুন। এরপর পাসপোর্ট নম্বর লিখুন এবং Nationality থেকে “Bangladesh” নির্বাচন করুন। তারপর “Check” বাটনে ক্লিক করলেই আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করুন
মেডিকেল রিপোর্ট চেক | Medical Report Check
আপনি যে দেশের ভিসার জন্য আবেদন করছেন আপনাকে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য ঐ দেশের ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার পেজ থেকে আপনার Medical Report Check করতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য সাধারণত পাসপোর্ট নাম্বার অথবা মেডিকেল স্লিপ নাম্বার লাগবে এবং জাতীয়তা বা Nationality সিলেক্ট করতে হবে। তারপর, চেক বাটনে ক্লিক করলেই আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
আপনি যদি চান নিচে দেওয়া লিংক গুলোতে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম, কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম, গামকা মেডিকেল রিপোর্ট চেক এবং মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম।
দেশ | বিস্তারিত |
---|---|
Saudi Arabia | সৌদি আরব মেডিকেল চেক |
Qatar | কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক |
Malaysia | মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক |
মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সার্ভার থাকে। বিশেষ করে আরবিক অঞ্চল অর্থাৎ মিনা অঞ্চলের ভিসার জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য ভিন্ন সার্ভার বা ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন; সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য Wafid ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয় এবং কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য qatarmedicalcenter এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়। তাই আপনি যে দেশের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনি ঐ দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুন: ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার বিকল্প পদ্ধতি
আপনি মনে করিয়েন না শুধুমাত্র অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা যায়। আপনি যদি কোন এজেন্সি বা মেডিকেলে মাধ্যমে আপনার মেডিকেল টেস্ট বা পরীক্ষা করিয়ে থাকেন তাহলে ঐ এজেন্সি বা মেডিকেলে ওয়েবসাইটে বা সরাসরি অফিসে গিয়ে আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। অফলাইনে বা সরাসরি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য আপনার মেডিকেল রিপোর্টের স্লিপ নাম্বার লাগবে। এছাড়া যদি এজেন্সির বা মেডিকেলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে চেক করার সিস্টেম থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকেও মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। এর জন্য ও আপনার মেডিকেল রিপোর্ট স্লিপ নাম্বার লাগবে।
বাংলাদেশে বেশ কিছু নামিদামি এবং জনপ্রিয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে যারা মেডিকেল রিপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশে পরিচিত সেগুলো হলো:
- রাজধানী ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিস
- সিলমুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার
- আল হামাদ মেডিকেল
- আল হুমায়রা মেডিকেল
- নোভা মেডিকেল
- ক্যাথারসিস মেডিকেল
- মেডিসন মেডিকেল
- পারফেক্ট মেডিকেয়ার লিমিটেড
- মীম মেডিকেল সেন্টার
আরো পড়ুন: ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
মেডিকেল রিপোর্ট চেক FIT এবং UNFIT বলতে কি বোঝায়?
সাধারণত মেডিকেল চেক আপের জন্য প্রধান ৪ থেকে ৫ টি মেডিকেল টেস্ট বা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, সেগুলো হলো:
- শারীরিক পরীক্ষা
- রক্ত পরীক্ষা
- বুকের এক্স-রে
- মূত্র পরীক্ষা
- ইমিউনাইজেশন স্ট্যাটাস পরীক্ষা
- ইসিজি (ECG)
- হেপাটাইটিস বি এবং সি টেস্ট
- এইচআইভি টেস্ট
- ম্যালেরিয়া পরীক্ষা
- সিফিলিস পরীক্ষা
- টিবি (টিউবারকুলোসিস) স্ক্রিনিং
দেশ অনুযায়ী কিছু কিছু ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পরীক্ষা বা উক্ত পরীক্ষার চেয়ে কম পরীক্ষা করানো হয়।
যদি আপনি এই উক্ত সকল পরীক্ষায় পাশ করেন সেক্ষেত্রে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট এ FIT দেখাবে। তাহলে আপনাকে ভিসা দেওয়া হবে এবং আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আর এই কয়েকটি পরীক্ষায় যদি আপনি একটি ও ফেল করেন তাহলে আপনাকে দেখানো হবে আপনি UNFIT এর মানে হলো আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য না। তবে আপনি চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর আপনি আবার মেডিকেল টেস্ট করতে পারেন।
এখন জেনে নিন কেন আপনার মেডিকেল রিপোর্টে UNFIT দেখানো হয়? আপনি যদি শারীরিকভাবে ফিট না হোন অথবা আপনি যদি অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে না পারেন তাহলে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট UNFIT দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। যে সকল কারণে মেডিকেল রিপোর্ট UNFIT দেখায় সেগুলো হলো:
মেডিকেল রিপোর্ট “UNFIT” হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে সাধারণত কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে:
সংক্রামক রোগ |
|
বড় শারীরিক সমস্যা |
|
মানসিক স্বাস্থ্য |
|
আসক্তি |
|
ইমিউনাইজেশন স্ট্যাটাস |
|
কিছু কিছু দেশের বিশেষ ভিসার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট বা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য মানদণ্ড থাকতে পারে। যদি তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী সেগুলো পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে ভিসা না পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেমন: গর্ভবতী মহিলারা অনেক দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে না। এছাড়াও শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ত্রুটির কারণে ও আপনার মেডিকেল রিপোর্ট UNFIT দেখায়।
FAQ
মেডিকেল পরীক্ষা দেওয়ার কতদিন পরে রিপোর্ট পাওয়া যায়?
সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সার্ভার জনিত সমস্যা, সামাজিক সমস্যার কারণে অনেক দেরি হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব না যে মেডিকেল পরীক্ষা দেওয়ার কতদিন পরে রিপোর্ট পাওয়া যায়।
মেডিকেল রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে আবার কতদিন পর পরীক্ষা দেওয়া যায়?
মেডিকেল রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে আবার পরের দিন থেকে আপনি মেডিকেল টেস্ট বা পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল টেস্ট বা পরীক্ষা করা বুকামি। তাই আপনার যে শারীরিক সমস্যা রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভালো হলে আপনি পুনরায় মেডিকেল টেস্ট দিতে পারেন।
মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকে?
মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ মাস বা ৯০ দিন পর্যন্ত থাকে। এই ৯০ দিনের মধ্যে আপনি এই একটি মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে অন্যান্য দেশের ভিসার জন্য বা যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ৯০ দিন পর থেকে আপনি এই মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে আর কিছু করতে পারবেন না। আপনাকে আবারো মেডিকেল টেস্ট বা পরীক্ষা করতে হবে।
অনলাইনে কি ফ্রিতে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা যায়?
অবশ্যই অনলাইনে ফ্রীতে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা যায়। মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য আপনার কোন প্রকার টাকা লাগবে না। শুধুমাত্র পাসপোর্ট নাম্বার অথবা GCC Slip স্লিপ নাম্বার প্রয়োজন হবে। এরপর আপনি https://wafid.com/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে পাসপোর্ট নাম্বার বা GCC Slip নাম্বার দিয়ে এবং জাতীয়তা সিলেক্ট করে চেক বাটনে ক্লিক করলে আপনি সৌদি আরব বা আরবিক অঞ্চল গুলোর ভিসা চেক করতে পারবেন। তবে অন্যান্য দেশের ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে তাদের ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে কোন ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে হবে?
মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে eservices.imi.gov.my/myimms/FomemaStatus ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে হবে।
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য কী তথ্য প্রয়োজন?
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে আপনার ভিসা নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর প্রয়োজন হবে।
গামকা মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য কিভাবে স্লিপ নম্বর ব্যবহার করবেন?
গামকা মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে “Wafid Slip Number” সিলেক্ট করে শুধুমাত্র স্লিপ নম্বর লিখে “Check” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য কোন অপশন নির্বাচন করতে হবে?
বাংলাদেশ থেকে সৌদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য “By Passport Number” অপশনটি নির্বাচন করতে হবে এবং তারপর পাসপোর্ট নম্বর ও Nationality হিসেবে “Bangladesh” নির্বাচন করতে হবে।
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার প্রক্রিয়া কী?
কাতার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য qatarmedicalcenter.com/status-check ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর লিখতে হবে, তারপর ক্যাপচা পূরণ করে “Submit” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
গামকা মেডিকেল আনফিট হলে কি হবে?
যদি গামকা মেডিকেল রিপোর্টে “UNFIT” নির্দেশ করা হয়, তাহলে গামকা আপনার রিপোর্ট বাতিল করে দেবে। এই রিপোর্টের কারণে যে সমস্যা হয়েছে, সেটি সমাধান করার পর পুনরায় মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে।
শেষ কথা
আশা করি আপনি জেনে গেছেন পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য কি কি করতে হবে। আপনাকে উপরের পদ্ধতি অনুসারে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হবে। যদি অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে না জানেন সেক্ষেত্রে আপনি যে এজেন্সি বা মেডিকেলে পরীক্ষা করছেন সেখানে গিয়ে সরাসরি মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট চেক করতে পারেন।