কৃষি ব্যাংক লোন (Krishi Bank Loan)

কৃষি ব্যাংক লোন হলো বাংলাদেশে অন্যতম একটি লোন। বিশেষ করে কৃষক বা কৃষি কাজের মানুষদের জন্য বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকিং সেবার গুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক অন্যতম। বাংলাদেশের কৃষি কাজের চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য এবং কৃষকের কাজে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক “Krishi Bank Loan” প্রদান করে থাকে। আজকের এই পোস্টের মধ্যে কৃষি ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি, তাই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।

কৃষি ব্যাংক লোন কি?

কৃষি ব্যাংক লোন বলতে সাধারণত শস্য, পশুপালন (গরু, ছাগল, মহিষ, গাভী ইত্যাদি), প্রাণিসম্পদ, মৎস্য চাষ, ফলমূল চাষের জন্য লোন প্রদান করাকে বোঝায়। মূলত কৃষি কাজের সকল চাহিদা পূরণ করার জন্য কৃষি ব্যাংক চলমান, প্রকল্প, এসএমই ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প লোন প্রদান করে থাকে। কৃষি ব্যাংক মূল লক্ষ্য হলো খাদ্য ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক আরো শক্তিশালী করা।

কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকতে হবে। এরপর, আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, জমির দলিল, পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং দুজন জামিনদারের জামিন পত্র নিয়ে নিকটস্থ কৃষি ব্যাংকে যেতে হবে। তারপর, ঋণের আবেদন ফরমটি পূরণ করে জমা দেওয়ার পর আপনি যদি ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে আপনাকে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন প্রদান করা হবে।

আপনার কাছে বিষয়টি সহজ মনে হতে পারে। তবে সেটা অনেকটা কঠিন। কারণ, ঋণ দেওয়ার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিবেন। এছাড়া, আপনার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে এবং আপনাকে কিছু শর্ত দেওয়া হবে। আপনি যদি সকল কিছু ঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনি ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।

আশা করি এখনো আপনার বিষয়টি পরিষ্কার হয় নি। যাইহোক, চিন্তার কারণ নেই আপনাকে বিষয়টি আরো সহজ করে দেওয়ার জন্য নিচে বিস্তারিত ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনার যদি মনে হয় এই পোস্টটি পড়ার পরেও আপনার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয় নি তাহলে আপনি সরাসরি Google Play Store থেকে BKB-Janala অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন: সহজ কিস্তিতে লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

কৃষি ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ

কৃষি ব্যাংক লোন সাধারণত ৮ প্রকার হয়ে থাকে, যেমন:

  1. স্বল্প মেয়াদী ঋণ
  2. মধ্যম মেয়াদী ঋণ
  3. দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ
  4. আমানতের বিপরীতে ঋণ
  5. কনজুমার ঋণ
  6. গ্রিন ব্যাংকিং
  7. এসএমই ঋণ
  8. বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্কিত ঋণ

স্বল্প মেয়াদী ঋণ: স্বল্প মেয়াদী ঋণের মধ্যে রয়েছে শস্য ঋণ, চা উৎপাদন ঋণ, নগদ মূলধন ঋণ/চলতি মূলধন ঋণ, অর্থ সামাজিক কার্যাবলী-আইফাদ ইত্যাদি।

শস্য ঋণ / অর্থ সামাজিক কার্যাবলী-আইফাদরোপা আমন, বোরো, গম, আলু, ডাল/শীতকালীন শাকসবজি, পাট, আখ, সরিষা/বাদাম, ভুট্টা, তিল/গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি, তুলা, মৎস্য চাষ, কলা চাষ, চিংড়ি মাছ, লবন চাষ, আদা/কচু, একুয়াকালচার, আউশ/বোন অমন, রেনু উৎপাদন, শস্য গুদাম ও বাজারজাতকরণ ইত্যাদি।
নগদ মূলধন ঋণ/চলতি মূলধন ঋণরপ্তানি ঋণ, কৃষি পণ্যের বিপণন, সার ও কীটনাশক ঔষুধের ডিলার, এল সংরক্ষণ, মৎস্য প্রকিয়াজাত, কৃষি পণ্যের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, অন্যান্য।
চা উৎপাদনচা উৎপাদন

মধ্যম মেয়াদী ঋণ: এই ধরণের ঋণের মধ্যে রয়েছে হালের বলদ/গ্রামীণ যানবাহন, রেশম চাষ, সেচ যন্ত্রপাতি, খামার যন্ত্রপাতি, ফল ও অন্যান্য অর্থকরী ফসলের বাগান/মিশ্র খাবার/পানববরজ, পুকুরের মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক মৎস্য চাষ, শিক্ষিত বেকার যুকব উন্নয়ন কর্মসূচি, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিংড়ি চাষ, পশুপালন (হাঁস, মুরগি, গরু, গাভী ইত্যাদি), কুটির শিল্প, পল্লী বিদ্যুতায়ন, তাঁত শিল্প ইত্যাদি।

দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ: এই ধরণের ঋণের মধ্যে রয়েছে কৃষি ভিত্তিক শিল্প, রাবার চাষ, প্রকল্প ঋণ, চা বাগান উন্নয়ন ইত্যাদি।

কৃষি ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ফরম

নিচে কৃষি ব্যাংক লোন আবেদন ফরম গুলোর দেওয়া রয়েছে। পিডিএফ আকারে সেগুলো দেওয়া রয়েছে আপনি চাইলে এখান থেকে কৃষি ব্যাংক লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেগুলো ঘরে পূরণ করে নিকটস্থ কৃষি ব্যাংকে জমা দিতে পারেন।

উপরের ফরম গুলোর মধ্যে আপনার যেই ফরমটি প্রয়োজন সেটি ডাউনলোড করুন। অর্থাৎ, আপনি যদি এসএমই লোন নিতে চান তাহলে “এসএমই” লিংকে ক্লিক করে ফরম ডাউনলোড করে নিন।

কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র)

কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হবে সেগুলো এক নজরে দেখে নিন।

শস্য ঋণের প্রয়োনীয় কাগজপত্র:

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • নাগরিকত্ব সনদপত্র ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর দুই কপি (সত্যায়িত) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

মেয়াদী ঋণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • নাগরিকত্ব সনদপত্র ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর দুই কপি (সত্যায়িত) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • খতিয়ানের কপি সমূহ।
  • খাজনার দাখিল সহ মূল কবলা দলিল।
  • দু’জন জামিনদারের জামিন পত্র।

আরো পড়ুন: অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

কৃষি ব্যাংক লোন আবেদনকারীর যোগ্যতা

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকতে হবে।
  • পূর্বে অন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে এবং সে ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
  • ঋণ পরিশোধ করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • দেউলিয়া ব্যাক্তি অর্থাৎ অনেক টাকার লোকসান হয়েছে এমন ব্যাক্তি লোন পাবেন না।
  • মূর্খ বা বুদ্ধি নেই এমন ব্যক্তি ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য না। অর্থাৎ কাজের দক্ষতা না থাকাকে বোঝায়।
  • শিক্ষিত, পরিশ্রমী, সৎ, সাহসী, পেশাদার অভিজ্ঞ, বিপদের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অধিকারী ব্যাক্তি ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
  • যে সকল উদ্যোক্তা ছোট এবং মাঝারি এন্টারপ্রাইজ খাতে নিয়জিত তারা ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।

কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম

  • স্বল্প মেয়াদি ঋণ: এই ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হবে। পশু পালন, শস্য উৎপাদন, মৎস্য চাষ, অর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড, কৃষিজাত পণ্য ইত্যাদি জন্য এই স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়।
  • মধ্যম মেয়াদি ঋণ: এই ঋণের ক্ষেত্রে সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে কৃষি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে হয়। সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতি, ফল এবং ফুলের চাষ, মাঝারি ধরনের প্রকল্প, মৎস্য চাষ, পশু পালন, গ্রামীণ পরিবহন ইত্যাদির জন্য এই লোন দেওয়া হয়।
  • দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ: এই ঋণের ক্ষেত্রে ৫ বছরের উপর থেকে শুরু করে ঋণের ধরণের উপর নির্ভর করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এটি ব্যাংক থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সাধারণত কৃষি জাত খামার, উদ্যান উন্নয়ন, চা বাগান, কৃষি ভিত্তিক শিল্প, রপ্তানি যোগ্য দ্রব্যাদি উৎপাদন, রাবার চাষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ঋণ প্রদান করা হয়।

কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি

সাধারণত কৃষি ব্যাংক লোন নেয়ার জন্য অবশ্যই নিকটস্থ কৃষি ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা থেকে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে নিতে হবে। যাইহোক আবেদন ফরম ডাউনলোড লিংক এই পোস্টে দেওয়া রয়েছে উপরে বা নিচে থেকে একটু দেখে নিন।

এবার তো আপনি আবেদন ফরম ডাউনলোড করলেন এখন ঐ আবেদন ফরমে যে সকল তথ্য খুজতেছে সেই সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। এখন আপনার কাজ হলো আবেদন ফর্ম ব্যাংকে জমা দেওয়া। এরপর, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার সকল তথ্য যাচাই বাছাই করে নিবেন যদি আপনি লোন নেওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে।

আপনি যদি ঋণের জন্য যোগ্য হন তাহলে আপনাকে সরাসরি আপনার ব্যাংকে অথবা আপনার হাতে টাকা প্রদান করা হবে। এখন তো টাকা পেলেন এইবার আপনার কাজ হলো সঠিক স সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করার মতো ব্যাবস্থা নেওয়া। অর্থাৎ ঋণ পাওয়ার পর আপনার স্বপ্নের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা।

আপনি চাইলে কৃষি ব্যাংক লোনের টাকা সরকারি অথবা চেকের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করার মাধ্যমে ও সেটা করা যায়।

আরো পড়ুন: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম

কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস

কৃষি ব্যাংক লোন অ্যাপস এর নাম হলো BKB-Janala। গুগল প্লে স্টোরে “BKB-Janala” লিখে সার্চ করলে সবার প্রথমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের BKB-Janala অফিসিয়াল অ্যাপসটি দেখতে পাবেন। তবে আমার মনে হয় আপনাদের এই অ্যাপসের প্রয়োজন হবে কারণ কৃষি ব্যাংকের অফিসিয়াল পেজে কৃষি ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। ১৮ জুল, ২০১৮ সালে গুগল প্লে স্টোরে BKB-Janala অ্যাপটি প্রকাশ করা হয় এবং বর্তমানে এই অ্যাপটি ৫০,০০০+ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

FAQ

কৃষি ব্যাংক কি সরকারি?

হ্যাঁ, কৃষি ব্যাংক একটি সরকারি ব্যাংক। কৃষি ব্যাংকের সম্পূর্ণ মালিকানা বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক গুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি শিল্পকে সেবা প্রদান করা এবং কৃষি কাজের সকল চাহিদা পূরণ করা।

কৃষি ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়?

হ্যাঁ, কৃষি ব্যাংক একটি সরকারি ব্যাংক। কৃষি ব্যাংকের সম্পূর্ণ মালিকানা বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক গুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি শিল্পকে সেবা প্রদান করা এবং কৃষি কাজের সকল চাহিদা পূরণ করা।

কৃষি ব্যাংক থেকে কি যে কেউ চাইলে লোন নিতে পারবে?

না কৃষি ব্যাংক থেকে যে কেউ চাইলে লোন নিতে পারে না। কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই কৃষি রিলেটেড কাজে যুক্ত থাকতে হবে। যেমন: মাছ চাষ, শস্য চাষ, চা পাতা, রাবার চাষ, পশুপালন ইত্যাদি চাষ জাতীয় কাজে যুক্ত থাকতে হবে।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি লাগে?

কৃষি ব্যাংক থেকে স্বল্প ও মাঝারি মেয়াদি ঋণ নেওয়ার জন্য বেশি কিছু লাগে না। শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র, জমির দলিল, পাসপোর্ট আকারের ছবি, দু’জন জামিনদারের জামিন পত্র, কৃষি করের রশিদ / সম্পত্তির নথি (যদি থাকে) এই কয়েকটি কাগজপত্র দরকার হবে।

আমি আশা করি আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক লোন (Krishi Bank Loan) সম্পর্কে বিস্তারিত একটু গাইডলাইন পেয়েছেন। কৃষি ব্যাংক লোন যে শুধু Bangladesh Krishi Bank প্রদান করে বিষয়টি তেমন না। Janata Bank ও Agriculture Loans অর্থাৎ কৃষিভিত্তিক শিল্প লোন প্রদান করে। তাই আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ ব্যাংকগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। যদি আপনার নিকটস্থ ব্যাংকগুলো লোন প্রদান করে তাহলে আপনি সে সকল ব্যাংক গুলো থেকে লোন নিতে পারবেন। কৃষি ব্যাংক সম্পর্কে যদি আপনার আরো কিছু জানার থাকে তাহলে দয়া করে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment