ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম – পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে Ibas Finance Gov ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে পাসপোর্ট ফি অপশনে ক্লিক করুন। এরপর, আপনি কত পৃষ্ঠার এবং কত বছরের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, তা নির্বাচন করতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আপনার জন্ম সনদ বা এনআইডি কার্ডের তথ্য দিতে হবে এবং একটি মোবাইল নম্বরও লিখতে হবে। এরপর, পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করে ই পাসপোর্ট ফি জমা দিন।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে, আপনার পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। নিচে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে কী কী প্রয়োজন এবং কিভাবে এগুলো সম্পন্ন করবেন। চলুন, আরও বিস্তারিত জানি!

ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার শেষ ধাপে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে। এ জন্য আপনাকে স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

  • প্রথমে Automated Challan System Bangladesh ওয়েবসাইটে যান। সেখানে পাসপোর্ট অপশন থেকে “ই পাসপোর্ট ফি” লিংকে ক্লিক করুন। এরপর, পাসপোর্টটি কত পাতার এবং কত বছরের মেয়াদ হবে, তা নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে যান। পরিচয় নিশ্চিত করতে, আপনার আবেদন করার সময় দেওয়া জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা এনআইডি নম্বর এবং জন্মতারিখ লিখুন।
  • তারপর মোবাইল নম্বরটি টাইপ করুন এবং পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করুন। সবকিছু সঠিকভাবে করার পর পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
  • পেমেন্টের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম (MFS) এর মাধ্যমে যেমন বিকাশ ও নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবেন।

ধাপ ১: চালান ওয়েবসাইটে প্রবেশ

ই পাসপোর্ট ফি দিতে হলে প্রথমে আপনাকে Automated Challan System Ibas Finance Gov ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখান থেকে পাসপোর্ট আইকনে ক্লিক করে “ই পাসপোর্ট ফি” অপশনে ট্যাপ করুন। এরপর একটি নতুন পেজ খুলবে, যেখানে আপনাকে পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারির ধরন নির্বাচন করতে হবে।

আপনার আবেদন করার সময় যে তথ্য দিয়েছিলেন, সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। ভুল তথ্য দিলে আবেদন পেন্ডিং হয়ে যেতে পারে, তাই ৬৪/৪৮ পৃষ্ঠা ও পাসপোর্টের মেয়াদ সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। এরপর OK ক্লিক করুন।

ধাপ ২: পরিচয় সনাক্ত করা

এবার আপনাকে আপনার পরিচয় ভেরিফাই করতে হবে। আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে চান, তাহলে সেটি দিতে পারেন, অথবা এনআইডি নম্বর ও জন্মতারিখ ব্যবহার করেও ভেরিফাই করতে পারবেন। ভুল তথ্য দিলে সেটা সংশোধন করার সুযোগ নেই, তাই সঠিকভাবে পূরণ করুন। ডান পাশে আপনার ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত তথ্য দেখতে পারবেন।

ধাপ ৩: পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন

এখন আপনাকে পাসপোর্ট ফি কোন মাধ্যমে পরিশোধ করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, অথবা সরাসরি ব্যাংকে জমা দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং, বিশেষ করে বিকাশ ব্যবহার করছেন। এছাড়া নগদ, রকেট ও ট্যাপ-ট্যাপও ব্যবহার করতে পারবেন।

ধাপ ৪: বিকাশের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি প্রদান

যদি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান, তাহলে বিকাশের লোগোর উপর ক্লিক করে Save নির্বাচন করুন। এরপর আপনাকে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েতে নিয়ে যাওয়া হবে।

পেমেন্ট করার জন্য নিশ্চিত করুন আপনার বিকাশ একাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স রয়েছে। Proceed বাটনে ক্লিক করে আপনার বিকাশ নাম্বার ও পিন দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

পেমেন্ট করার সময় আপনার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় এবং ডিভাইসটি বন্ধ না হয়, সেটাও খেয়াল রাখুন। পেমেন্ট সফল হলে, আপনাকে আবার চালান ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে একটি চালান নাম্বার পাবেন। এটি ডাউনলোড করে রাখুন, কারণ পাসপোর্টের কাগজপত্রে চালানটি জমা দিতে হবে।

যদি পেমেন্টের পর Transaction Failed মেসেজ আসে, তাহলে পেইজটি বন্ধ করবেন না। আপনার ইন্টারনেট সচল রাখুন এবং চালান নম্বর কপি করে চালান ওয়েবসাইটে গিয়ে তা ভেরিফাই করে কপি ডাউনলোড করুন।

এছাড়া, আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে চালান মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে অনলাইনেও পেমেন্ট করতে পারেন। একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

আরো পড়ুন: ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

মোবাইলের মাধ্যমে ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়েও ই পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন। এর জন্য সবচেয়ে সহজ হবে যদি আপনি বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের A Challan অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করে নেন। এছাড়া, Google Chrome ব্রাউজার থেকেও আপনি চালান পরিশোধ করতে পারবেন। অ্যাপ ব্যবহার করে পাসপোর্ট ফি পরিশোধের ধাপগুলো একইভাবে অনুসরণ করতে হবে, যেভাবে আগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যাংক কাউন্টার থেকে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ

অনলাইনে ছাড়াও, ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে আপনি সরাসরি ব্যাংক কাউন্টারে গিয়ে এ চালানের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন।

ব্যাংক কাউন্টারে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে গেলে আপনার সঙ্গে থাকতে হবে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সামারি (E Passport Application Summary) এবং রেজিস্ট্রেশন ফর্ম (Registration Form)।

এছাড়া, পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য অনুযায়ী আপনার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর, এবং পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদ সঠিকভাবে দিতে হবে, যেন কোনো ভুল না হয়।

চালান পরিশোধ করার পর ব্যাংক অফিসার থেকে চালান ফরমের প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন। ই-পাসপোর্টের ফি জমার চালান কপিটি এনরোলমেন্টের সময় পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

এ চালানে ই পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট করার নিয়ম

আপনি যদি ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য ফি জমা দিয়েছেন কিন্তু এখন ৬৪ পৃষ্ঠার ফি জমা দিতে চান, কিংবা সাধারণ ডেলিভারির ফি জমা দিয়ে জরুরি আবেদনের জন্য ফি দিতে চান, তাহলে বাড়তি ফি জমা দেওয়ার কিছু উপায় আছে।

এই এ চালানে আপনি ব্যাংক থেকেও ফি এডজাস্টমেন্ট করতে পারেন, আবার অনলাইনে নিজে করতে পারবেন।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১:

প্রথমে A Challan ওয়েবসাইটে যান এবং সেখানে ই-পাসপোর্ট ফি অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ২:

এবার “ই-পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট” অপশন সিলেক্ট করুন। আপনার পূর্বে জমা দেওয়া চালান নম্বর লিখুন এবং পরিবর্তিত পাসপোর্টের ধরন সিলেক্ট করুন—অর্থাৎ আপনি ৬৪ পৃষ্ঠা সাধারণ নাকি জরুরি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান।

সবশেষে OK বাটনে ক্লিক করে পূর্বের নির্দেশনা অনুসারে বাকি টাকা পরিশোধ করুন।

পাসপোর্ট ফি জমা ব্যাংক

পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনি নিচের ব্যাংকগুলো থেকে ফি পরিশোধ করতে পারেন:

  • AB Bank PLC
  • Bangladesh Commerce Bank PLC
  • Bangladesh Development Bank PLC
  • Trust Bank PLC
  • Bank Asia PLC
  • Brac Bank PLC
  • Eastern Bank PLC
  • Islami Bank Bangladesh PLC
  • NRB Bank PLC
  • Agrani Bank PLC
  • Midland Bank PLC
  • Modhumoti Bank PLC
  • Dutch Bangla Bank PLC
  • Community Bank PLC
  • Mutual Trust Bank PLC
  • Southeast Bank PLC
  • National Bank PLC
  • One Bank PLC
  • Prime Bank PLC
  • NRB Commercial Bank PLC
  • Sonali Bank PLC
  • City Bank PLC
  • PI Banking PLC
  • Premier Bank PLC

আপনি এই ব্যাংকগুলো থেকে যেকোনো একটি ব্যাংকে গিয়ে আপনার পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন।

ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার জন্য কী কী লাগে

ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু তথ্য বা কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। নিচে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো:

  • পাসপোর্ট আবেদনের সময় কত পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন
  • পাসপোর্টের মেয়াদ কত বছর, সেটিও উল্লেখ করতে হবে
  • পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের নম্বর
  • পাসপোর্ট আবেদনে উল্লেখিত আপনার পূর্ণ নাম ও ঠিকানা
  • আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বর

এই তথ্যগুলো ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার সময় আপনার কাছে চাইবে। তাই সঠিক তথ্য দিতে না পারলে আপনার জমা দেওয়া ফি গ্রহণযোগ্য হবে না।

আরো পড়ুন; ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম

পাসপোর্ট ফি পরিশোধের পর চালান ডাউনলোড করতে না পারলে যা করবেন

অনলাইনে পেমেন্ট করার সময় মাঝে মাঝে এমন হতে পারে যে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলেও লেনদেনটি ব্যর্থ হয়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করবেন এবং কী করবেন না, তা এখানে উল্লেখ করা হলো:

  • প্রথমত, ওই পেইজটি ভুলেও বন্ধ করবেন না।
  • আপনাকে ওই পেইজের লিংকটি কপি করে রাখতে হবে।
  • কপি করা লিংকটি একটি নোট বা মেসেজে সেভ করুন।
  • লিংকে আপনি 2122-00019740571 এর মতো একটি নম্বর পাবেন, যা আপনার চালান নম্বর।
  • এরপর Online Challan Verification ওয়েবসাইটে যান।
  • সেখানে আপনার কপি করা চালান নম্বর দিয়ে সার্চ করুন।

এইভাবে আপনি আপনার চালানের তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

প্রথম বক্সে ৪ ডিজিট এবং পরের বক্সে ১১ ডিজিট লিখে Verify বাটনে ক্লিক করুন। আশা করছি, আপনি আপনার চালানটি পেয়ে যাবেন। চালানের PDF ফাইলটি সেভ করে নিন এবং প্রিন্ট করে রাখুন।

যদি এই পদ্ধতিতে চালান নম্বর না পান, তাহলে সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের ফেসবুক সাপোর্ট গ্রুপ SPG Support Group-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আশা করি, সেখানে আপনার চালান নম্বর এবং পেমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন।

FAQ

ই-পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হলে কী কী তথ্য প্রয়োজন?

ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন:

পাসপোর্ট আবেদনের সময় কত পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন
পাসপোর্টের মেয়াদ কত বছর
পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের নম্বর
আবেদন অনুযায়ী পূর্ণ নাম ও ঠিকানা
মোবাইল নম্বর

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট ফি কিভাবে এডজাস্ট করতে হয়?

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট ফি এডজাস্ট করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

A Challan ওয়েবসাইটে যান।
“ই-পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট” অপশনে ক্লিক করুন।
পূর্বে জমা দেওয়া চালান নম্বর লিখুন এবং নতুন পাসপোর্টের ধরন সিলেক্ট করুন।
OK বাটনে ক্লিক করে বাকি টাকা পরিশোধ করুন।

যদি অনলাইনে পেমেন্ট করার সময় লেনদেন ব্যর্থ হয়, তখন কী করতে হবে?

লেনদেন ব্যর্থ হলে:

পেইজটি বন্ধ করবেন না।
পেইজের লিংকটি কপি করে রাখুন।
লিংকে থাকা চালান নম্বর ব্যবহার করে Online Challan Verification ওয়েবসাইটে যান এবং আপনার চালানটি সার্চ করুন।

ব্যাংক থেকে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দিতে গেলে কী প্রয়োজন?

ব্যাংক থেকে ফি জমা দিতে হলে প্রয়োজন:

ই-পাসপোর্ট আবেদনের সামারি (E Passport Application Summary)
রেজিস্ট্রেশন ফর্ম (Registration Form)
আপনার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা ও মেয়াদ সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট ফি জমা দিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার ফি জমা দিতে চাইলে কী করব?

৪৮ পৃষ্ঠার ফি জমা দিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার ফি জমা দিতে চাইলে বাড়তি ফি এডজাস্ট করতে হবে। এর জন্য অনলাইনে A Challan ওয়েবসাইটে গিয়ে “ই-পাসপোর্ট ফি এডজাস্টমেন্ট” অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক গুলোতে কী কী তথ্য দিতে হবে?

ব্যাংকে ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার সময় আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য দিতে হবে:

আপনার নাম
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
মোবাইল নম্বর
পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদ

অনলাইনে চালান নম্বর পেতে হলে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি?

অনলাইনে চালান নম্বর পেতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমন:

ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে চালান নম্বর পাওয়া না যাওয়া
ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যা
সাইটে টেকনিক্যাল সমস্যা

ই-পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার পর কতক্ষণ পর চালান নম্বর পাওয়া যায়?

টাকা জমা দেওয়ার পর সাধারণত কয়েক মিনিটের মধ্যে চালান নম্বর পাওয়া যায়। তবে কখনও কখনও সার্ভারের সমস্যার কারণে দেরি হতে পারে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার উপকারিতা কী?

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার সুবিধা হলো:

সহজ ও দ্রুত লেনদেন
ঘরে বসেই ফি জমা দেওয়া
কোন ব্যাংক শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই

যদি আমি ভুলে চালান নম্বর প্রবেশ করি, তাহলে কী হবে?

যদি আপনি ভুল চালান নম্বর প্রবেশ করেন, তাহলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া পেন্ডিং হতে পারে। সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আবার চেষ্টা করতে হবে।

জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কিভাবে আলাদা?

জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া মূলত একই, তবে আপনাকে জরুরি আবেদনের জন্য আলাদা ফি জমা দিতে হবে এবং আবেদন পদ্ধতিতে উল্লেখ করতে হবে যে এটি জরুরি।

যদি আমি অনলাইনে পেমেন্ট করার পর চালান ডাউনলোড না করতে পারি, তখন কী করব?

যদি আপনি চালান ডাউনলোড না করতে পারেন, তাহলে প্রথমে পেইজটি বন্ধ করবেন না। চালান নম্বর সংরক্ষণ করে Online Challan Verification ওয়েবসাইটে গিয়ে আবার চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

ই-পাসপোর্টের জন্য ফি জমা দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। অনলাইন এবং ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফি জমা দেওয়া সহজ হলেও, কিছু মৌলিক তথ্য সঠিকভাবে নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা, মেয়াদ, এবং পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সঠিকভাবে প্রদান করলে আপনার আবেদন দ্রুত সম্পন্ন হবে।

যদি কোনো কারণে লেনদেন ব্যর্থ হয় বা তথ্য ভুল হয়ে যায়, তবে নির্ভার হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনুসরণ করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার সুবিধা আপনাকে সময় এবং প্রচেষ্টা সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে।

এভাবে, সঠিক তথ্য এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া একটি সহজ ও কার্যকরী অভিজ্ঞতা হবে। আশা করি, এই নির্দেশনাগুলো আপনাকে সঠিকভাবে আপনার ই-পাসপোর্টের ফি জমা দিতে সাহায্য করবে।

Leave a Comment