কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় – বাংলাদেশ এখনো নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশে বেকারত্বের হার সত্যিই অনেক বেশি। তবে আশার কথা হলো, শিক্ষার হার আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এখন বেকারদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষিত।

এই বেকারত্বের সমস্যা কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আশা করি, এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থান বাড়াতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, বিভিন্ন সংস্থা ফ্রি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করছে এবং উন্নত দেশে পাঠানোর জন্য ভিসা ব্যবস্থা করছে, যাতে বেকারত্ব কমানো যায়।

ঘুরতে কার না ভালো লাগে? আর যদি সেটা হয় বিদেশে, তাহলে তো কথাই নেই! কিন্তু খরচের কথা চিন্তা করলে অনেকেরই বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা হয়ে ওঠে না। তবে এখন কিছু দারুণ ট্রাভেল ডেস্টিনেশন আছে, যেখানে খুব কম খরচে ঘুরে আসা সম্ভব।

বিদেশে যাওয়ার জন্য সাধারণত দেশের ওপর, ভিসা এবং বিমানের ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ হয়। এই খরচ শুরু হয় প্রায় ৫ হাজার থেকে এবং কিছু ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকাও হয়ে যেতে পারে। ফলে, অনেকের জন্য বিদেশ যাত্রা একটি বড় আর্থিক বিনিয়োগ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

যাঁরা কম খরচে বিদেশ যেতে চান, তাঁদের জন্য ভারত, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, কাতার, ফিলিপাইন, কুয়েত, ওমান, ভিয়েতনাম এবং নেপাল কিছু সেরা দেশ হতে পারে। এসব দেশে গিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবকরা দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং ভালো চাকরি পেয়ে নিজের পায়ের উপর দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন কারণে বিদেশে চলে যাচ্ছেন—কেউ টুরিস্ট ভিসায়, কেউ মেডিকেল ভিসায়, আবার কেউ স্টাডি বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। দেশ এবং ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে যাত্রার খরচ নির্ধারিত হয়।

এটা সত্যিই একটি বড় সুযোগ, কারণ অনেকেই নতুন অভিজ্ঞতা নিতে, শিক্ষা অর্জন করতে কিংবা ভালো চাকরির সন্ধানে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এই ধরনের ভিসা নিয়ে যাত্রা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎকে আরো উজ্জ্বল করার সম্ভাবনা তৈরি করছে।

আরো পড়ুন: ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ভ্রমণের জন্য দারুণ সময়। এই সময়ে দেশের মধ্যে কক্সবাজার, সাজেক ও শ্রীমঙ্গল ঘুরে এলে অনেকেই ভাবেন, এবার কি দেশের বাইরে ঘুরে আসা যায়? পাসপোর্টে নতুন সিল যোগ হলে তো আলাদা এক আনন্দই থাকে! কিন্তু বিদেশ ভ্রমণের কথা ভাবলেই খরচের হিসাব মাথায় ঘুরতে শুরু করে।

এখন বিমানভাড়া থেকে হোটেল—সবকিছুর খরচই অনেক বেড়ে গেছে। অনেকের একা একা ঘুরতে ইচ্ছে নেই, কিন্তু একজন সঙ্গী না থাকলে তা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। তাহলে প্রশ্ন হলো, দুজন মিলে এক লাখ টাকার বাজেটে বিদেশে ঘুরে আসা কি সম্ভব? হ্যাঁ, যদি আগেভাগে পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিশ্চয়ই সম্ভব! একটু সচেতন হলে এবং সঠিক সময় সুযোগ কাজে লাগালে বিদেশ ভ্রমণ সত্যিই আনন্দদায়ক হতে পারে।

আজকের এই ব্লগে আমি এমন কিছু দেশের কথা বলব, যেগুলোতে আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে সফর করতে পারেন। সুতরাং, যদি আপনি বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করেন, তাহলে এই দেশগুলো আপনার জন্য দারুণ অপশন হতে পারে!

ভারত

ভারত বাংলাদেশের কাছে থাকা একটি পার্শ্ববর্তী দেশ, তাই বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়ার খরচ বেশ কম। উদাহরণস্বরূপ, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে যেতে মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এই কারণে অনেকেই ভারতকে তাদের প্রথম গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন, যেখানে কম খরচে ভালো সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে।

ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা ফি খুব বেশি নয়—মাত্র ৮০০ টাকা। এর উপর কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়, যেখানে জনপ্রতি খরচ হবে ২ থেকে ৪ হাজার টাকার মতো। ভারতে ঘুরে দেখার জায়গার অভাব নেই। কলকাতায় যেমন রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জোড়াসাঁকো এবং হাওড়া ব্রিজ, তেমনি রাজস্থানের জয়পুরে আপনি গোলাপি শহর এবং আগ্রায় তাজমহল দেখতে পারবেন।

এছাড়া শিমলা-মানালির বরফ পাহাড় তো একদম অসাধারণ! এমনকি এই বাজেটে আপনি কাশ্মীরের মত স্বর্গেও যেতে পারেন। তাই বছরের শেষে যখন লম্বা ছুটি আসে, তখন কম খরচে ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।

থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি গন্তব্য, এবং এখানে যাওয়ার জন্য বাজেটও খুব বেশি প্রয়োজন নয়। চাইলে দুজন মিলে এক লাখ টাকার মধ্যে পুরো থাইল্যান্ড ঘুরে আসা সম্ভব। এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা করালে দুজনের খরচ হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, এবং ফ্লাইটের খরচ পড়বে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে কম দামে টিকিট পেতে হলে আগে থেকেই চেষ্টা করতে হবে এবং ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলো বেছে নিলেই ভালো।

যদি টিকিট ও ভিসার খরচ মোট ৭০ হাজার টাকা ধরে নিই, তাহলে বাকি ৩০ হাজার টাকায় অন্তত ব্যাংকক ভালোভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন। পাতায়া, ফুকেট, ক্র্যাবিও যাওয়ার সুযোগও থাকবে, যদিও সেক্ষেত্রে একটু টানাটানি লাগতে পারে।

থাইল্যান্ডের এক চমৎকার সুবিধা হলো এখানে বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে খুব সাশ্রয়ী হোস্টেলও পাওয়া যায়। দামি রেস্তোরাঁর খাবারের পাশাপাশি রাস্তার পাশের খাবারেও আপনার দিন ভালো কাটবে। তাই জীবনসঙ্গী বা বন্ধুর সাথে থাইল্যান্ড ঘুরে আসার পরিকল্পনা করতে পারেন নিশ্চিন্তে!

বিদেশে ভ্রমণের কথা ভাবলে প্রথমেই যে দেশটির নাম মনে আসে, তা হলো থাইল্যান্ড। অপূর্ব সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং ছোট ছোট দ্বীপের সংমিশ্রণে গঠিত এই দেশটি এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। Tourism Authority of Thailand (TAT) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সেখানে ভ্রমণ করেছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। থাইল্যান্ড মূলত কম খরচে ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত। ব্যাংকক এবং পাতায়ার মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে মাত্র ২০০০-২৫০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়।

এখন একটু মজার তথ্য জানি: কখনো কি ভেবেছেন বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলানোর ইচ্ছে? থাইল্যান্ডের চাংমাইয়ে টাইগার কিংডম নামের এই চিড়িয়াখানায় এসে আপনি সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন! এখানে বাঘের সাথে সরাসরি দেখা করার এবং পাশে বসে ছবি তোলার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাতে চাইলে মনে হয় বাঘ মামা রাগ করবে না!

ইন্দোনেশিয়া

বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে খরচ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন ভ্রমণের সময়, টিকিটের ধরন এবং থাকার ব্যবস্থা। সাধারণত, ফ্লাইটের টিকিটের খরচ প্রায় ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা হতে পারে। এছাড়া, ভিসার ফি এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট বাজেট প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

আপনার কি মিলিয়নিয়ার হওয়ার স্বপ্ন আছে? যদি জীবনেও একবার মিলিয়নিয়ার হতে চান, তাহলে ইন্দোনেশিয়া ঘুরে আসা একটা দারুণ সুযোগ! কারণ বাংলাদেশের ৬০০ টাকার মান প্রায় ১ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ান রুপির সমান। ভাবুন, আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার কোনো রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গেলেন, আর খাওয়া শেষে দেখলেন কয়েক লক্ষ টাকা বিল হয়ে গেছে! এর কল্পনাতেই তো মজাটা অন্যরকম!

কম খরচে ভ্রমণের জন্য ইন্দোনেশিয়া একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে কিন্তামানি ভিলেজ, উলুন দানু টেম্পল, তানাহ লট, মাঙ্কি ফরেস্ট এবং বালি—এসব জায়গা সত্যিই অসাধারণ। আর ভিসার ব্যাপারে চিন্তার কিছু নেই; আপনার কাছে রিটার্ন টিকেট থাকলেই এয়ারপোর্ট থেকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। ইন্দোনেশিয়াতে রাতপ্রতি হোটেলে থাকা খরচও মাত্র ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। তাই, এই সুযোগটা হাতছাড়া না করে একটা সুন্দর ট্রিপের পরিকল্পনা করতে পারেন!

নেপাল

হিমালয় পর্বতমালার এত কাছাকাছি আমাদের বাস, ভ্রমণপ্রেমীরা এ কথা ভাবতেই কৃতজ্ঞতা অনুভব করতে পারেন। স্বচক্ষে হিমালয় দেখার জন্য তেমন কোনো কষ্ট বা খরচ করতে হয় না; শুধু একটা কাজ করতে হবে—নেপালের ফ্লাইটের টিকিট কাটতে হবে।

বাংলাদেশি নাগরিকেরা নেপালে গিয়ে সেখানে ভিসা পেতে পারেন, তাই অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হয় না। শুধু আগেভাগে একটি ফরম পূরণ করে রাখলেই হবে। নেপালের ফ্লাইটের খরচ সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। তাহলে দুজনের জন্য মোটামুটি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হয়ে যায়। পৌঁছানোর পরও আপনি চাইলে সাশ্রয়ী মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন এবং পোখারা কিংবা নাগরকোট ঘুরে আসতে পারেন।

কিন্তু নেপালের魅力 শুধু পর্বত দেখাতেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি সারা পৃথিবীর অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এক জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে ত্রিশূলী নদীর স্রোতে র‍্যাফটিং, বাঞ্জি জাম্পিং এবং পৃথিবীর সেরা কিছু পর্বত আরোহণের সুযোগ রয়েছে। তবে, এসব অ্যাডভেঞ্চারের জন্য এক লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে দুজনের ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। তাই, পরিকল্পনা করুন আর এক অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চারের জন্য প্রস্তুত হন!

ফিলিপাইন

বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইন যেতে খরচ বেশ কিছু বিষয় ধরে নির্ভর করে, যেমন ভ্রমণের সময়, টিকিটের ধরন এবং থাকার ব্যবস্থা। সাধারণত, ফ্লাইটের টিকিটের খরচ প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। এছাড়া, ফিলিপাইনে থাকার জন্য দৈনিক খরচ, খাবার, স্থানীয় পরিবহন এবং অন্যান্য ভ্রমণের খরচ মিলিয়ে মোট বাজেট প্রায় ৭০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

নয়নাভিরাম সমুদ্র ও সাদা বালুর সৈকত ফিলিপাইনকে এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখানে টাকার মান বাংলাদেশের তুলনায় কম, যেখানে ১ পেসো প্রায় ১.৬৪ টাকার সমান। ফিলিপীনের রাজধানী ম্যানিলায় রাতপ্রতি হোটেলে থাকার খরচ ২০০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। চাইলে ডরম অথবা হোস্টেলে থেকেও আরও কম খরচে থাকতে পারেন।

এখানে খাবারের দামও খুব বেশি নয়; একটি প্লেট স্ট্রিট ফুড মাত্র ৩-৫ ডলারে পাবেন। ঘুরতে আসলে ম্যানিলা ও বোরোকাই খুব জনপ্রিয় জায়গা। আর ফিলিপাইনে সবচেয়ে কম খরচে ডাইভিং শেখার সুযোগ রয়েছে—বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে আপনি রোমাঞ্চকর ডাইভিং শিখে নিতে পারবেন। তাই, ফিলিপাইন ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা পাবেন!

মালয়েশিয়া

পর্যটনের জন্য মালয়েশিয়া এক চমৎকার গন্তব্য। রঙিন শহুরে জীবন, নীল সমুদ্র সৈকত এবং ঘন অরণ্য—এখানে সবকিছুই যেন একদম স্বপ্নের মতো!

আপনারা যদি ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ভিসা ও বিমানের টিকিট পেতে চান, তাহলে দুজনের জন্য এটি খুবই সম্ভব। রাজধানী কুয়ালালামপুরে কম খরচে থাকার জন্য অনেক হোটেলও পাওয়া যায়। মালয়েশিয়া স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত, তাই খাবারের খরচও খুব বেশি নয়। ফলে, এক লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে আপনাদের জন্য মালয়েশিয়া ঘুরে আসা সম্ভব। এটি সত্যিই একটি দারুণ সুযোগ, তাই দেরি না করে পরিকল্পনা শুরু করুন!

প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন। ওয়র্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় যেতে হলে খরচ হয় সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে। এই খরচের মধ্যে ফ্লাইটের টিকিট, ভিসার ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেকের জন্য এটি একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, যেখানে তারা ভালো চাকরি পেয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎকে সাজানোর চেষ্টা করছেন।

বিদেশে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। গত ২-৩ বছরে অসংখ্য বাংলাদেশি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন। মালয়েশিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান হলো কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, যা অনেকেই বলেন, “যদি সেখানে ছবি না তোলা হয়, তাহলে মালয়েশিয়া ভ্রমণই বৃথা!” এছাড়া টিওম্যান, ল্যাংকাউই এবং পেনাংও বেশ জনপ্রিয় জায়গা।

মালয়েশিয়ায় মাঝারি মানের হোটেলে থাকার জন্য রাতপ্রতি ৩৫০০-৪০০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। এই সবকিছু মিলিয়ে মালয়েশিয়া সত্যিই এক দারুণ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিতে পারে!

ভিয়েতনাম

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে খরচ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন ভ্রমণের সময় এবং টিকিটের ধরন। সাধারণত, ফ্লাইটের টিকিটের খরচ ২৫,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

এছাড়া, ভিয়েতনামে থাকার জন্য দৈনিক খরচ, খাবার এবং স্থানীয় পরিবহন মিলিয়ে মোট বাজেট প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে সঠিক বাজেটের জন্য আপনার ভ্রমণের তারিখ এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য বিবেচনা করা জরুরি।

কম খরচে ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত এশিয়ার অন্যতম দেশ হলো ভিয়েতনাম। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকেও অনেক পর্যটক ভিয়েতনাম ভ্রমণ করছেন। ভিয়েতনামের কিছু জনপ্রিয় গন্তব্যের মধ্যে ডা ন্যাং, মার্বেল মাউন্টেন ও হোই অ্যান উল্লেখযোগ্য।

এখানে থাকা এবং খাবারের খরচও খুব কম, তাই ব্যাকপ্যাকিং ট্রাভেলারদের, বিশেষ করে সোলো ব্যাকপ্যাকিং ভ্রমণকারীদের জন্য ভিয়েতনাম ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভিয়েতনামে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে “ফু কুয়োক” (Phu Quoc) নামের একটি সমুদ্র সৈকতের কথা অবশ্যই রাখতে হবে, এটি ভিয়েতনামের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সত্যিই, ভিয়েতনাম ভ্রমণ একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিতে পারে!

মালদ্বীপ

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে খরচ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন ভ্রমণের সময় এবং টিকিটের ধরন। সাধারণত, ফ্লাইটের টিকিটের খরচ ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

এছাড়া, মালদ্বীপে থাকা এবং খাবারের খরচও যোগ করলে মোট বাজেট ৫০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে সঠিক বাজেট নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা এবং অন্যান্য খরচের ওপর।

বাজেট ভ্রমণের তালিকায় মালদ্বীপের নাম দেখে হয়তো অবাক হচ্ছেন, কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই! বিলাসবহুল হানিমুনের গন্তব্য মালদ্বীপেও আপনি কিছুটা সাশ্রয়ী খরচে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, এক লাখ টাকার বাজেট ধরে মালদ্বীপে যাওয়াটা বেশ কঠিন হতে পারে, কারণ টিকিটের খরচেই প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা চলে যেতে পারে।

আশার কথা হলো, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি কিছু ফ্লাইট পাওয়া যায় মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশে। যদি আপনি সঠিক সময় সুবিধা নিতে পারেন, তাহলে একটু কম দামে টিকিট পেতে পারেন। আর টিকিট পেলে চিন্তার কিছু নেই, কারণ মালদ্বীপে নেপালের মতো ভিসার জন্য কোনো ফি দিতে হয় না; শুধু আগেভাগে একটি ফরম পূরণ করতে হবে।

এখন কথা হলো, থাকা এবং খাওয়ার খরচ কেমন হবে? মালদ্বীপ মূলত ১,২০০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। রিসোর্ট দ্বীপগুলো বেশ অভিজাত, তাই কম বাজেটে সেগুলোতে থাকা সম্ভব নয়। তবে, স্থানীয় দ্বীপের ছোট হোটেলে থাকার সুযোগ থাকতে পারে। আর পর্যটন এলাকা থেকে ভেতরের রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের দামও বেশ সস্তা; সেখানে আপনি প্রতি বেলা এক-দুই ডলার খরচ করেও স্থানীয় খাবার উপভোগ করতে পারবেন। তাই, মালদ্বীপে ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে যান, আর উপভোগ করুন অসাধারণ অভিজ্ঞতা!

সৌদি আরব

বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত কাজের জন্য সৌদি আরব যান ওয়র্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। সৌদি আরবে কাজের ভিসায় যেতে হলে খরচ হয় সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যে। এই খরচের মধ্যে ফ্লাইটের টিকিট, ভিসার ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেকের জন্য এটি একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, যেখানে তারা ভালো চাকরি পেয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করেন।

কাতার

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে কাতারের নাম শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে কাতার সরকারিভাবে শ্রমিক আমদানি করছে। বর্তমানে সরকারিভাবে কাতারে যেতে হলে খরচ পড়ছে প্রায় ৪,৫০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ টাকার মধ্যে। এই খরচের মধ্যে ভিসা, ফ্লাইটের টিকিট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। কাতার একটি দারুণ সুযোগ দিতে পারে, বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজ করতে চান।

কুয়েত

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুদ্রার মধ্যে কুয়েতি দিনার অন্যতম। কুয়েতে কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যা অনেকের জন্য আকর্ষণীয়। বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে খরচ হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে। এই খরচে ভিসা, ফ্লাইটের টিকিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। যারা কুয়েতে কাজের চিন্তা করছেন, তাদের জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।

ওমান

আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ওমান একটি মরুভূমির দেশ, যা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অনেক উন্নত। প্রতিবছর ওমান সরকার হাজার হাজার শ্রমিক আমদানি করে, এবং বর্তমানে এখানে প্রায় ২২ লাখ প্রবাসী শ্রমিক বসবাস করছেন। বাংলাদেশ থেকেও এখানে কাজের জন্য যেতে হলে খরচ হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। যারা নতুন কর্মসংস্থানের সন্ধানে আছেন, তাদের জন্য ওমান একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।

কম খরচে যেভাবে বিদেশ যেতে পারেন

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই অনেক মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। কিছু লোক টাকা খরচ করে যাচ্ছে, আবার কেউ লটারির মাধ্যমে সুযোগ পাচ্ছে। তবে, আপনি জানেন কি, বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে লটারির মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব?

যদি আপনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হন এবং বিদেশে কাজ করতে বা অন্য কোনো কারণে যেতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লটারির মাধ্যমে বিদেশে গেলে আপনার খরচও অনেক কম হবে। এমনকি ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ অনেক জায়গায় যেতে পারেন অল্প খরচে। তাই এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত, যদি আপনি বিদেশে যেতে চান।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট ফি – পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

লটারির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশে এই পদ্ধতির মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব:

  1. কানাডা: এখানে কিছু প্রদেশে লটারির মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নেওয়া হয়, যা কাজে আসতে পারে।
  2. অস্ট্রেলিয়া: এখানে নির্দিষ্ট ভিসার জন্য লটারির ব্যবস্থা রয়েছে, যা অনেকের জন্য সুযোগ তৈরি করে।
  3. আমেরিকা: প্রতি বছর ডাইভারসিটি ভিসা লটারি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশ নিয়ে অনেকেই নতুন জীবনের শুরু করতে পারেন।
  4. নিউজিল্যান্ড: কিছু ভিসার জন্য লটারি সিস্টেম রয়েছে, যা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।
  5. ইউরোপের কিছু দেশ: যেমন পোল্যান্ড এবং বেলজিয়ামে লটারির মাধ্যমে অভিবাসনের সুযোগ রয়েছে।

এই দেশগুলোতে লটারির মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু প্রতিটি দেশের নিজস্ব শর্ত ও প্রক্রিয়া রয়েছে, তাই বিস্তারিত তথ্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। যদি আপনারও কোরিয়া যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আপনি সরাসরি bkttcdhaka.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে লটারির জন্য আবেদন করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে লটারির মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব এমন দেশের মধ্যে কোরিয়া অন্যতম। যদি আপনি কাউকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে প্রথমেই শুনবেন যে কোরিয়ায় লটারির মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ আছে। এর কারণ হলো, কোরিয়া একটি দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক লটারির মাধ্যমে যাচ্ছেন এবং এখানে যাওয়ার খরচও তুলনামূলক কম।

অন্য কোনো দেশের তুলনায় কোরিয়া একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে লটারি পদ্ধতির জন্য। তাই আপনি সহজেই কোরিয়ার লটারির জন্য আবেদন করে সেখানে যেতে পারেন।

কোরিয়া যাওয়ার জন্য লটারির পদ্ধতি বেশ সহজ হলেও কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রথমে কোরিয়ান ভাষা শেখায় এবং পরে লটারির জন্য আবেদন করতে সাহায্য করে। একবার যদি আপনি লটারি জিতে যান, তাহলে আপনাকে একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বাংলাদেশের মধ্যে কোরিয়া যাওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো bkttcdhaka.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি সরকারি অনুমোদিত, যেখানে আপনি লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে এখানে প্রচুর মানুষ আবেদন করছেন।

এই ওয়েবসাইটে আবেদন করার পর, যদি আপনি লটারিতে নির্বাচিত হন, তাহলে আপনাকে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে। ভাষা শেখার পর একটি পরীক্ষা দিতে হবে, এবং পরীক্ষায় সফল হলে আপনি লটারির মাধ্যমে কোরিয়া চলে যেতে পারবেন।

FAQ

কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়?

অর্থনৈতিক কারণে অনেক সময় আমাদের ভ্রমণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কম খরচে বিদেশে ঘুরে আসার জন্য ভারত একটি দারুণ জায়গা। মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি সহজেই ভারত ভ্রমণ করতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্যের একেবারে আকর্ষণীয় দেশ কাতারও অসাধারণ। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক কাতারের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাতারে টুরিস্ট ভিসার খরচও বেশ সাশ্রয়ী, মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।

কোন দেশের ভিসার দাম কত?

গত বছরের তুলনায় এবছরে বিভিন্ন দেশের ভিসার দাম বেশ বেড়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মী হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে এখন অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার খরচ হয়। তবে এই অঞ্চলে ভিজিট ভিসার দাম অনেকটা সাশ্রয়ী, মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সুবিধা আছে। সাধারণভাবে, ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মতো, কিন্তু স্কলারশিপ পেলে সেটা কমে এসে মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকায় হয়ে যায়।

কোন দেশে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়?

ভারত, নেপাল, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড এমন কিছু দেশ যেখানে তুলনামূলক কম খরচে ভ্রমণ করা সম্ভব।

ভারত যাওয়ার খরচ কত হতে পারে?

ভারত ভ্রমণে সাধারণত ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে খরচ হবে, যা ভিসা, যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

ভিয়েতনামে থাকা ও খাওয়ার খরচ কেমন?

ভিয়েতনামে থাকা ও খাওয়ার খরচ খুব কম, এখানে আপনি দিনে ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকায় ভালো খাবার ও থাকার ব্যবস্থা পেতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের জন্য বাজেট কত হবে?

মালয়েশিয়ায় দুজনের জন্য ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকার বাজেটে ভ্রমণ করা সম্ভব।

থাইল্যান্ডে খাবারের খরচ কেমন?

থাইল্যান্ডে রাস্তায় খাবার খেতে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে খাবার পেয়ে যাবেন।

কোন দেশে গিয়ে বেশি আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়?

ভারত ও নেপাল ভ্রমণে আপনি আপনার টাকায় বেশি সুবিধা পাবেন, কারণ সেখানকার জীবনযাত্রার খরচ বাংলাদেশি টাকার তুলনায় কম।

ভারত ভ্রমণে কোন শহরগুলো বেশি জনপ্রিয়?

দিল্লি, আগ্রা (তাজমহল), মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, এবং কলকাতা ভারত ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় শহর।

ভিয়েতনামে কি ধরনের দর্শনীয় স্থান আছে?

ভিয়েতনামে হ্যালং বে, হো চি মিন সিটি, এবং হ্যানয়ে ঘুরে দেখার মতো অনেক সুন্দর স্থান আছে।

মালয়েশিয়ায় কী ধরনের খাবার পাওয়া যায়?

মালয়েশিয়ায় মালয়, চীনা ও ভারতীয় খাবার পাওয়া যায়। নাসি লেমাক এবং চায়নিস নুডলস বেশ জনপ্রিয়।

কোথায় যাওয়ার জন্য বিশেষ ভিসার প্রয়োজন?

ইউরোপ ও আমেরিকার বেশিরভাগ দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা লাগবে, তবে নেপাল ও ভারত সহজ ভিসা প্রক্রিয়া।

কোন দেশে সফরের জন্য বাজেট প্যাকেজ পাওয়া যায়?

থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভারত বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে বাজেট প্যাকেজ অফার করে।

কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোন সময়টা সেরা?

সাধারণত অফ-পিক সিজনে (যেমন বর্ষাকাল বা শীতকাল) ভ্রমণ করলে খরচ কম হয়।

দক্ষিণ এশিয়ায় কোন দেশগুলো ভ্রমণের জন্য নিরাপদ?

ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়া সাধারণত নিরাপদ ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে পরিচিত।

ভ্রমণের জন্য স্বাস্থ্য insurance গ্রহণ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

বিদেশ ভ্রমণে স্বাস্থ্য বিমা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি হতে পারে।

কোন দেশে সস্তায় শপিং করা যায়?

থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং মালয়েশিয়া শপিংয়ের জন্য সস্তা গন্তব্য।

কীভাবে ভ্রমণের সময় যোগাযোগ রাখতে হবে?

স্থানীয় সিম কার্ড কিনুন।
Wi-Fi সুবিধা ব্যবহার করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

শেষ কথা

বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে খরচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে কম বাজেটে অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, যেমন ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, এবং ভিয়েতনাম, সস্তায় ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য। স্থানীয় খাবার, হোস্টেল, এবং গণপরিবহন ব্যবহার করে খরচ কমানো সম্ভব। এছাড়া লটারি ও স্কলারশিপের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।

যেহেতু ভ্রমণ মানে নতুন সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতা গ্রহণ, তাই আপনার পরিকল্পনা যেন সঠিক হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। সবার জন্য উপযুক্ত তথ্য ও প্রস্তুতির মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণকে আরও সহজ এবং আনন্দময় করে তুলতে পারেন। এই অভিজ্ঞতা আপনার জীবনকে সমৃদ্ধ করবে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Leave a Comment