কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়

কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় – ইউরোপের যেকোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেখানে যাওয়ার খরচ কতটা হবে। ইউরোপে মোট ৪৮টি স্বাধীন দেশ রয়েছে, এবং এই দেশগুলোকে ব্যয়ের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়: উচ্চ, মধ্যম এবং নিম্ন ব্যয়ের দেশ।

পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো সাধারণত সবচেয়ে ব্যয়বহুল, কারণ সেখানে জীবনযাত্রার মান এবং আয় দুটোই তুলনামূলকভাবে বেশি। পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্য অন্যতম।

মধ্য ইউরোপের দেশগুলোকে ব্যয় বিবেচনায় মধ্যম ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। এসব দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। মধ্য ইউরোপের মধ্যে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং সুইজারল্যান্ড উল্লেখযোগ্য।

সবচেয়ে কম ব্যয়ের দেশগুলো পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। এখানে জীবনযাত্রার খরচ খুবই সামান্য। পূর্ব ইউরোপের দেশে অন্তর্ভুক্ত বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভেনিয়া এভাবে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ইউরোপে যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারেন!

বর্তমান বিশ্বের সাতটি মহাদেশের মধ্যে ইউরোপ মহাদেশ অন্যতম। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের খরচ জানা থাকলে সঠিক দেশ নির্বাচন এবং ভিসা তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য পেতে পারেন।

ইউরোপে মোট ৪৮টি স্বাধীন দেশ রয়েছে, যেগুলো সাধারণত তিনটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত: পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম ইউরোপ এবং মধ্য ইউরোপ।

এই ৪৮ দেশের মধ্যে ২৮টি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, যাদের সেনজেন ভুক্ত দেশ বলা হয়। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থাকা দেশগুলোতে যেতে আপনার প্রায় ৭ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপের যেসব দেশে যেতে পারেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দেশ এবং তাদের আনুমানিক খরচ:

  1. পোল্যান্ড:
    • খরচ: প্রায় ৬ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা
    • ভিসা: সহজলভ্য এবং জীবনযাত্রার খরচও তুলনামূলক কম।
  2. হাঙ্গেরি:
    • খরচ: প্রায় ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা
    • ভিসা: পেতে সুবিধাজনক এবং বুদাপেস্টের জন্য জনপ্রিয়।
  3. চেক প্রজাতন্ত্র:
    • খরচ: প্রায় ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা
    • ভিসা: সহজে পাওয়া যায় এবং প্রাগ শহরের সৌন্দর্য খুব আকর্ষণীয়।
  4. রোমানিয়া:
    • খরচ: প্রায় ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা
    • ভিসা: সহজ এবং এখানে অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য।
  5. বুলগেরিয়া:
    • খরচ: প্রায় ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা
    • ভিসা: সুবিধাজনক এবং সাগর তট ও পাহাড়ী এলাকার জন্য পরিচিত।

এই দেশগুলোতে যাওয়ার সময় আপনার বাজেটের সঙ্গে তুলনা করে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।

আরো পড়ুন: কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার আনুমানিক খরচ নিচে উল্লেখ করা হলো। এই খরচগুলো সাধারণত বিমান ভাড়া, ভিসা এবং জীবনযাত্রার খরচের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।

উচ্চ ব্যয়ের দেশ (৭-৯ লাখ টাকা):

  1. যুক্তরাজ্য: ৮-৯ লাখ টাকা
  2. ফ্রান্স: ৮-৯ লাখ টাকা
  3. জার্মানি: ৮-৯ লাখ টাকা
  4. ইতালি: ৮-৯ লাখ টাকা
  5. স্পেন: ৮-৯ লাখ টাকা
  6. নেদারল্যান্ডস: ৮-৯ লাখ টাকা
  7. ডেনমার্ক: ৮-৯ লাখ টাকা

মধ্যম ব্যয়ের দেশ (৬-৭ লাখ টাকা):

  1. অস্ট্রিয়া: ৭ লাখ টাকা
  2. বেলজিয়াম: ৭ লাখ টাকা
  3. চেক প্রজাতন্ত্র: ৭-৮ লাখ টাকা
  4. ফিনল্যান্ড: ৬-৭ লাখ টাকা
  5. আইরিশ: ৬-৭ লাখ টাকা
  6. সুইজারল্যান্ড: ৮-৯ লাখ টাকা (মহান ব্যয়)

নিম্ন ব্যয়ের দেশ (৫-৬ লাখ টাকা):

  1. পোল্যান্ড: ৬-৮ লাখ টাকা
  2. হাঙ্গেরি: ৬-৭ লাখ টাকা
  3. ক্রোয়েশিয়া: ৭-৮ লাখ টাকা
  4. রোমানিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  5. বুলগেরিয়া: ৫-৭ লাখ টাকা
  6. লিথুয়ানিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  7. লাটভিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  8. স্লোভাকিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  9. স্লোভেনিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা

নোট:

  • ভিসা প্রক্রিয়া: দেশের ওপর নির্ভর করে ভিসার খরচও পরিবর্তিত হতে পারে।
  • বিমান ভাড়া: বিভিন্ন সময়ে বিমান ভাড়া পরিবর্তিত হয়, তাই সঠিক সময়ে টিকেট বুকিং করা ভালো।
  • জীবনযাত্রার খরচ: যেখানে আপনি থাকবেন, সেখানকার খরচের ওপরও এটি নির্ভর করে।

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশে যাওয়ার আনুমানিক খরচ নিচে দেওয়া হলো:

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এবং খরচ:

  1. পোল্যান্ড: ৬-৮ লাখ টাকা
  2. হাঙ্গেরি: ৬-৭ লাখ টাকা
  3. রোমানিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  4. ক্রোয়েশিয়া: ৭-৮ লাখ টাকা
  5. বুলগেরিয়া: ৫-৭ লাখ টাকা
  6. লিথুয়ানিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  7. লাটভিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  8. স্লোভাকিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা
  9. স্লোভেনিয়া: ৬-৭ লাখ টাকা

নোট:

  • এই খরচগুলো বিমানের টিকেট, ভিসা এবং জীবনযাত্রার খরচের ওপর ভিত্তি করে।
  • ভিসার প্রক্রিয়া এবং সময়কাল আলাদা হতে পারে, তাই পরিকল্পনার আগে বিষয়গুলো যাচাই করা উচিত।
  • বিমান ভাড়ার ওপর বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন আসতে পারে, তাই বুকিংয়ের সময় খেয়াল রাখুন।

মধ্য ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে মধ্য ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার আনুমানিক খরচ নিচে দেওয়া হলো:

মধ্য ইউরোপের দেশগুলো এবং খরচ:

  1. অস্ট্রিয়া: ৭-৮ লাখ টাকা
  2. বেলজিয়াম: ৭-৮ লাখ টাকা
  3. চেক প্রজাতন্ত্র: ৭-৮ লাখ টাকা
  4. ডেনমার্ক: ৮-৯ লাখ টাকা
  5. ফিনল্যান্ড: ৬-৭ লাখ টাকা
  6. নেদারল্যান্ডস: ৮-৯ লাখ টাকা
  7. সুইজারল্যান্ড: ৮-৯ লাখ টাকা (মহান ব্যয়)

নোট:

  • এই খরচগুলো বিমানের টিকেট, ভিসা এবং জীবনযাত্রার খরচের ওপর ভিত্তি করে।
  • ভিসা প্রক্রিয়া ও সময়কাল ভিন্ন হতে পারে, তাই বিষয়গুলো আগে যাচাই করুন।
  • বিমান ভাড়ার ওপর বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন আসতে পারে, তাই সময়মতো টিকেট বুকিংয়ের দিকে খেয়াল রাখুন।

এই তথ্য আপনার যাত্রার পরিকল্পনায় সাহায্য করবে!

ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়

বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রথমে বিবেচনা করে। এর প্রধান কারণ হলো, শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে আপনি সহজেই ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়া, ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

আরেকটি বড় সুবিধা হলো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভিজিট ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। খরচও তুলনামূলকভাবে কম।

বর্তমানে ইউরোপের বেশ কিছু দেশের ভিসা পাওয়া সহজ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ইত্যাদি। এসব দেশগুলোতে যাওয়ার সুযোগের জন্য অনেকেই আগ্রহী।

Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

ইউরোপে IELTS ছাড়া যেতে পারা কিছু দেশের মধ্যে রয়েছে:

  1. জার্মানি: কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজিতে কোর্স অফার করে যেখানে অন্যান্য প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারেন।
  2. নেদারল্যান্ডস: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য ইংরেজি প্রমাণপত্র গ্রহণ করে।
  3. ফ্রান্স: কিছু প্রোগ্রামে IELTS ছাড়া ভর্তি নেওয়া হয়।
  4. বুলগেরিয়া: ইংরেজিতে কোর্সের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত থাকতে পারে, তবে IELTS প্রয়োজন নাও হতে পারে।
  5. পোল্যান্ড: কিছু বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে কোর্সের জন্য IELTS ছাড়া ভর্তি নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা জানার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখে নিতে পারেন।

ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু দেশ তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  1. জার্মানি: প্রক্রিয়া সহজ এবং অনেক ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য সহজ শর্তে ভিসা দেয়।
  2. নেদারল্যান্ডস: বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা এবং সহায়তা রয়েছে।
  3. পোল্যান্ড: ভিসার প্রক্রিয়া সাধারণত দ্রুত এবং সুবিধাজনক।
  4. ফিনল্যান্ড: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পলিসি রয়েছে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সহজ।
  5. বুলগেরিয়া: স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম কাগজপত্র প্রয়োজন।

প্রতিটি দেশের নিয়ম এবং প্রক্রিয়া সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনসুলেটের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেয়া ভালো।

আরো পড়ুন: নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম

ইউরোপ ভ্রমণে কোন কোন দেশে যাবেন?

সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ড পর্যটকদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসে এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়, তবে বেশিরভাগ মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়েই যান। কারণ, সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ।

অন্যদিকে, কাজের জন্য সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। তবে পড়াশোনার জন্য ভিসা পেতে হলে ভালো আইইএলটিএস স্কোর এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তাই, সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হলে কিছু প্রস্তুতি নিলে ভাল হয়!

ইতালি

ইতালি সত্যিই পৃথিবীর বিখ্যাত অনেকগুলো অসাধারণ ভবনের জন্য পরিচিত। রোমে গেলে আপনি কোলাসিয়াম দেখবেন, যা ইতিহাসের এক অন্যতম প্রতীক। ফ্লোরেন্সে গেলে রেনেসাঁর সময়ের অসাধারণ শিল্পকর্ম এবং ভবনগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে।

ভেনিসে তো পুরো শহরটাই পানির উপরে গড়ে উঠেছে! সেখানে গন্ডোলায় চড়ে প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আর যদি পাহাড়ের গা বেয়ে তৈরি হওয়া শহরের সৌন্দর্য দেখতে চান, তাহলে টুস্কানি ও সিঙ্কে টেরের দিকে যেতেই হবে। ইতালির প্রতিটি জায়গা যেন এক একটি গল্প বলে।

অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়া সত্যিই শিল্প ও ভাস্কর্যের একটি অনন্য দেশ। এখানে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। ভিয়েনা এবং সালসবার্গের মতো ঐতিহাসিক শহরগুলো এদেশের গর্ব।

আর হালস্টাট গ্রামের কথা বললে, সেটি যেন এক রূপকথার জগত। নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই গ্রামটির সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। ইনসব্রাক শহরে গিয়ে মনে হবে যেন ভিডিও গেমের বরফে মোড়ানো বিল্ডিংয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন।

সবকিছু দেখার পর গ্রসগ্লকনারের পাহাড়ি রাস্তা ধরে প্যানারমিক ভিউ উপভোগ করতে করতে ফেরার পথে আপনি সত্যিই অভিভূত হয়ে যাবেন। অস্ট্রিয়ায় আসা মানে এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা!

মাল্টা

মাল্টা ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশ, যা বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য। এখানে কাজের ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ, ফলে বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে অনেকেই মাল্টায় কাজ করতে আসছেন।

এছাড়া, টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়াও বেশ সহজ। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় মাল্টায় যাওয়ার খরচও যথেষ্ট কম, যা এটিকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তোলে। মাল্টায় আসলে নতুন অভিজ্ঞতা ও সুযোগের দরজা খুলে যাবে!

ফ্রান্স

ফ্রান্স একটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ, যা পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। এখানে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া সহজ, তবে ভিসার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসাও তুলনামূলক সহজে পাওয়া যায়। তবে, কাজের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। তবে, নিয়ম মেনে চললে এবং সঠিকভাবে চেষ্টা করলে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া সম্ভব। ফ্রান্সে এসে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না!

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, যা আইফেল টাওয়ারের শহর হিসেবে পরিচিত। এখানে লুভর মিউজিয়াম এবং ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার মতো অসাধারণ স্থাপনাগুলো রয়েছে। ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিশেলে এখানে ল্যাভেন্ডার ফিল্ড, রোমান্স রুইনস, এবং মন্ট সেইন্ট মাইকেল এর মতো জায়গা ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয়।

সারা দেশ জুড়ে দুর্গ ও গীর্জার দেখা পাবেন, যা আপনাকে অতীতের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এছাড়া, সময় কাটানোর জন্য অভিজাত ভবন, রেস্তোরাঁ এবং কফিশপও রয়েছে। ফ্রান্সের খাবার ও রন্ধনশিল্পের জন্য এর খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে এসে সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করবেন!

পর্তুগাল

পর্তুগালকে অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয়, কারণ এখানে নাগরিকত্ব পাওয়া অত্যন্ত সহজ। কাজের জন্য ভিসা পেতে তেমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। এছাড়া, ভ্রমণ ও পড়াশোনার জন্যও ভিসা পাওয়া সহজ। তবে, স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। পর্তুগালে এসে নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ সত্যিই আকর্ষণীয়!

হাঙ্গেরি

বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। তবে, কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, যেগুলো খুব বেশি কঠিন নয়। এছাড়া, হাঙ্গেরিতে কাজের জন্যও নতুন ভিসা চালু হচ্ছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই হাঙ্গেরির ভিসা পেয়েছেন। মাত্র ৫ শতাংশ ভিসা কাগজপত্রের গরমিলের কারণে বাতিল হয়েছে। তাই, সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি!

ব্রিটেন

লন্ডন ভ্রমণ সত্যিই অনেকের জন্য একটি স্বপ্ন। এখানে আপনি বাকিংহাম প্যালেস, টাওয়ার অব লন্ডন, বিগ বেন, লন্ডন আই এবং ন্যাশনাল গ্যালারীর মতো পৃথিবী বিখ্যাত স্থাপনা দেখতে পাবেন। এছাড়া, লন্ডনে রয়েছে প্রায় ৩৫০ একরের বিশাল হাইড পার্ক, যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডনের আবহাওয়া একটু অস্থির, সারা বছরই বৃষ্টি হতে পারে, তাই বসন্তের সময় ভ্রমণ করলে বেশি ভালো হবে। এই সময়টাতে শহরের সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায়!

নেদারল্যান্ডস

বর্তমানে নেদারল্যান্ডসে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়াও বেশ সহজ হয়ে গেছে। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখায়, যেসব শিক্ষার্থী এখানে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের সবাই ভিসা পেয়েছেন। তবে, আবেদন করার জন্য আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। তাই, যদি আপনার পরিকল্পনা থাকে নেদারল্যান্ডসে পড়াশোনা করার, তবে প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না!

লিথুয়ানিয়া

সুইডেনের বিপরীতে লিথুয়ানিয়ার শিক্ষার হার প্রায় ৯৯ শতাংশ, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। বর্তমানে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে এই দেশে। তবে, লিথুয়ানিতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। তাই, পড়াশোনার জন্য এখানে আসার পরিকল্পনা করলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে!

স্পেন

ইউরোপের মধ্যে স্পেন অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এখানে ইউনেস্কোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৪৭টিরও বেশি স্থাপনা রয়েছে। স্পেনের বার্সেলোনা ও মাদ্রিদ শহর মিউজিয়াম, সমুদ্র সৈকত এবং জনবহুল রাস্তার জন্য বিখ্যাত।

এছাড়া, গ্রানাডা ও সেভিলের মতো শহরে গেলে আপনি মুরিশ স্থাপনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, যা ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষী। স্পেনে বুল ফাইটিংয়ের মতো দুর্ধর্ষ খেলা দেখা যায়, যা বেশ রোমাঞ্চকর। আর খাবারের কথা বললে, স্পেনের রেস্তোরাঁ এবং রাস্তায় পাবেন অত্যন্ত উন্নত ও সুস্বাদু খাবার। সত্যিই, স্পেন ভ্রমণ করা একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা!

তুরস্ক

তুরস্ক একটি ইতিহাস, প্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ। ইস্তানবুলের হাজিয়া সোফিয়া থেকে শুরু করে ক্যাপাডোসিয়ার চিমনি, সবকিছুই আপনাকে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে আপনি ইফিসাসের রোমান শহর ঘুরে দেখতে পারেন, এবং ভূমধ্যসাগরের এক অংশে এজিয়ান সমুদ্রের সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন।

আর সময় কাটানোর জন্য প্রিন্স আইল্যান্ড বা বাটারফ্লাই ভ্যালির মতো স্থানের তো অভাব নেই। ভোজনরসিকদের জন্য গ্র্যান্ড বাজারে রয়েছে জনপ্রিয় সব খাবারের সমাহার। তুরস্কে এসে সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করবেন!

লাটভিয়া

বাল্টিক সাগরের পূর্বদিকে অবস্থিত লাটভিয়া একটি আকর্ষণীয় দেশ। এখানে স্টুডেন্ট ভিসার প্রক্রিয়া বেশ সহজ, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক। এছাড়া, লাটভিয়া কাজের জন্যও ভিসা দেয়, তাই যারা কাজের সুযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি ভালো গন্তব্য। এখানে এসে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করার সুযোগ অবশ্যই নিতে হবে!

জার্মানি

আধুনিক শিক্ষা ও জীবনযাত্রার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে জার্মানি সত্যিই অসাধারণ। এখানে ইতিহাস, শিল্প এবং রাতের সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা যায়। ব্রান্ডেনবার্গ গেটের মতো স্থাপনাগুলো বার্লিন ওয়ালের ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়।

জার্মানিতে হাইকিং করার জন্য রয়েছে অনেক পাহাড় ও নদী। রাইন নদী, কোয়াইন্ট টাউন এবং পুরনো দুর্গগুলোতে ঘুরে আসা একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য ব্ল্যাক ফরেস্টের মাঝখানে হারিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা। বিভিন্ন ক্যাথেড্রাল, পাব এবং উৎসবের জন্য জার্মানি ইউরোপের অন্যতম সেরা ভ্রমণস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আসলে আপনি সত্যিই একটি নতুন দিগন্তের সন্ধান পাবেন!

গ্রিস

প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধমাখা গ্রিস একটি অসাধারণ ভ্রমণস্থল। এখানে স্পার্টা, অ্যাথেন্সসহ অনেক ঐতিহাসিক শহরের জন্ম হয়েছিল। হানিমুন বা অন্য কোন কারণে স্যন্টোরিনি ক্লিফ এবং মিকোনোতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।

গ্রিসে রয়েছে বিখ্যাত মিটিওরা মোনাস্ট্রি, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন সংস্কৃতির ছোঁয়া পাবেন। যারা সীফুড প্রেমী, তাদের জন্য গ্রিসের সমুদ্র সৈকতের কাছের গ্রামগুলো এক দারুণ অভিজ্ঞতা দিতে পারে। সত্যিই, গ্রিসে এসে আপনি ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন!

রোমানিয়া

সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে রোমানিয়া সত্যিই অন্যতম। এখানে পুরাণের গল্প এবং প্রকৃতির অপরূপ রূপ একসাথে মিলে গেছে। ব্রাসোভ শহরে আপনি রঙিন ঘরবাড়ি দেখতে পাবেন, যা মনোরম।

এছাড়া, ফাগারাস মাউনটেইনের বিশাল উপত্যকা থেকে দূরদূরান্তের breathtaking দৃশ্য উপভোগ করা যায়। রোমানিয়ার একটি বিশেষ আকর্ষণ হলো এর রঙিন মোনাস্ট্রি, যা সত্যিই চোখে পড়ার মতো। আর বুকারেস্ট, রোমানিয়ার রাজধানী, দেশী ও বিদেশী পর্যটক এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিদের এক মিলনস্থল হয়ে উঠেছে। এখানে এসে আপনি এক নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাবেন!

জর্জিয়া

ইউরোপের মধ্যে জর্জিয়া সত্যিই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে রয়েছে ১০ মিলিয়ন গ্যালন পানির বিশাল একুরিয়াম, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ রক সিটি গার্ডেনের পাহাড়ি ঢাল উপভোগ করতে আসে।

জর্জিয়াতে ২২ একরের বিশাল অলিম্পিক পার্কও রয়েছে, যা বেশ সুন্দর। বার্জিয়া নামের স্থানে পাথরের পাহাড়ের মাঝে নির্মিত একটি গ্রাম আছে, যা এককথায় মুগ্ধকর। আপনি চাইলে সেখান থেকে চিয়াটুরা বা মার্টভি ক্যানিয়নের জলপ্রপাতেও যেতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের জন্য জর্জিয়া একটি আদর্শ জায়গা, যেখানে আপনি নতুন অভিজ্ঞতা খুঁজে পাবেন!

আরো পড়ুন: ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

কিভাবে ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন?

ইউরোপ ভ্রমণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো শেনজেন টুরিস্ট ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি ২৭টি দেশে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। পাশাপাশি, শেনজেন ভিসা নিয়ে আরও ১৩টি পার্শ্ববর্তী দেশে ভ্রমণের সুযোগও পাবেন। কোন টুরিস্ট প্রতিষ্টানের -এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাত্র ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে শেনজেন ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর এমব্যাসিতে ভিসা ফি পরিশোধ করার পর, বিমান টিকেট কিনে বা ইউরোপ ভ্রমণের প্যাকেজ নিয়ে উন্নত সভ্যতার জগতে পা রাখতে পারবেন। সত্যিই, এটি একটি দারুণ সুযোগ ইউরোপকে কাছ থেকে দেখার!

ইউরোপের শেনজেন টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগবে?

শেনজেন টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে সাধারণ ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন, সেগুলোই লাগবে। কিছু সাধারণ কাগজপত্রের পাশাপাশি, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্টও দেখাতে হবে। এগুলো হল:

সাধারণ যেসব কাগজপত্র লাগবে

শেনজেন টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. আবেদন ফর্ম, আবেদনকারীর স্বাক্ষরসহ
  2. গত তিন মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুটি ছবি
  3. ৩ মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট
  4. ভ্রমণ প্যাকেজ বা পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা
  5. রাউন্ড ট্রিপের বিমান টিকেট বা ফ্লাইট নম্বর
  6. ট্রাভেল ইনসুরেন্স, যা ৩০ হাজার ইউরোর কাভারেজ দেবে
  7. থাকার জন্য বুকিং অথবা ঠিকানার তথ্য
  8. ইউরোপ থেকে আসা কোনো ইনভাইটেশন লেটার
  9. ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা কোনো কোম্পানির স্পন্সরশিপ লেটার
  10. ভিসা ফি পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যালেন্সের প্রমাণপত্র

এসব ডকুমেন্ট ঠিকমত প্রস্তুত করলে ভিসা পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়!

চাকুরিজীবিদের অতিরিক্ত যা যা লাগবে

ভিসার জন্য কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্টও জমা দিতে হতে পারে, বিশেষ করে চাকুরিজীবীদের জন্য। এগুলো হলো:

  1. অফিসের চুক্তিপত্র
  2. অফিস থেকে ছুটির আবেদন ও অনুমতিপত্রের কপি
  3. ব্যাংকের গত ৬ মাসের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট
  4. নিজস্ব আয়কর রিটার্নের ফর্ম

এই কাগজপত্রগুলো জমা দিলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হবে!

ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত যা যা লাগবে

ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজন কিছু বিশেষ ডকুমেন্ট, যেমন:

  1. ট্রেড লাইসেন্সের কপি
  2. প্রতিষ্ঠানের গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  3. প্রতিষ্ঠানের আয়কর রিটার্নের ফর্ম

এই কাগজপত্রগুলো জমা দিলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে!

শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত যা যা লাগবে

শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়, যেমন:

  1. শিক্ষার্থী হিসেবে প্রমাণপত্র বা সার্টিফিকেট
  2. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট”
  3. যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হন, তাহলে বাবা-মা বা অভিভাবকের সম্মতি

এই কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে ভিসার প্রক্রিয়া অনেক smoother হয়ে যাবে!

কিভাবে কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ করবেন?

শেয়ারট্রিপের প্যাকেজ নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পর কিছু কৌশল অবলম্বন করে ব্যক্তিগত খরচ কমাতে পারবেন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:

  1. এয়ারপোর্ট থেকে একটু হেঁটে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে যেতে পারেন, এতে খরচ কমবে।
  2. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, যেমন মেট্রো ও বাসে চড়ে যাত্রা করলে আরেকটু সাশ্রয়ী হবে।
  3. প্যারিস, বার্সেলোনা, রোম, বুকারেস্ট, ভিয়েনা—এই সব শহরে হেঁটে ঘুরে দেখার সুযোগ নিন।
  4. ইউরোপের রেস্তোরাঁগুলোতে ওয়েটারদের ভালো বেতন দেওয়া হয়, তাই টিপস না দিলেও সমস্যা হবে না।
  5. খাবারের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ান রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন, যেখানে দাম তুলনামূলক কম।
  6. প্যাকেজের বাইরে থাকার জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া করলে হোটেলের চেয়ে অনেক কম খরচ হবে।
  7. মোবাইল ডেটা কম ব্যবহার করে শহরকে ভালোভাবে উপভোগ করুন।
  8. খরচের হিসাব রাখতে ডলার ও ইউরোর বর্তমান রেট জেনে নিন।
  9. সুপারমার্কেটে স্থানীয় জিনিসের বদলে “ক্লিয়ারেন্স” নামে জায়গায় কম দামে কেনাকাটা করতে পারেন।
  10. স্মৃতির জন্য দামি পোস্টকার্ড কেনার বদলে নিজের ছবি তোলার অভ্যাস করুন।
  11. নাস্তা বা পানীয় খাওয়ার জন্য স্থানীয় বার থেকে দাঁড়িয়ে খাবার অর্ডার করতে পারেন।

এইসব টিপস মেনে চললে ইউরোপ ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী ও উপভোগ্য হবে!

FAQ

কোন ইউরোপীয় দেশগুলোতে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়?

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো, যেমন: বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, এবং পোল্যান্ড কম খরচে ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়। এছাড়া স্লোভাকিয়া ও লিথুয়ানিয়াও ভালো অপশন।

কম খরচে কোথায় থাকার ব্যবস্থা করতে পারি?

হোস্টেল, এয়ারবিএনবির মতো প্ল্যাটফর্মে ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারেন। স্থানীয় যুব হোস্টেলগুলোও সাশ্রয়ী হয়।

খরচ কমানোর জন্য কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

স্থানীয় বাজার থেকে খাবার কিনে রান্না করলে খরচ কমবে। এছাড়া স্ট্রিট ফুড এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁর খাবারও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কেমন সাশ্রয়ী?

মেট্রো, বাস এবং ট্রাম ব্যবহার করে ভ্রমণ করলে খরচ অনেক কমে যায়। অনেক শহরে ট্রান্সপোর্টের জন্য রোজকার বা সপ্তাহিক টিকেটও পাওয়া যায়, যা সাশ্রয়ী।

ইউরোপে কোথায় সস্তায় কেনাকাটা করা যায়?

স্থানীয় মার্কেট এবং ক্লিয়ারেন্স সেল থেকে কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারেন। এছাড়া ডিসকাউন্ট স্টোরগুলোও ভালো অপশন।

বাজেট ফ্লাইট কোথায় পাওয়া যাবে?

রায়ানএয়ার, ইজিজেট এবং উইজ এয়ারের মতো বাজেট এয়ারলাইনগুলোর মাধ্যমে কম দামে ফ্লাইট পেতে পারেন।

কোন সময় ইউরোপ ভ্রমণ করলে খরচ কম হবে?

অফ-পিক সিজনে, যেমন শীতের শেষ বা গ্রীষ্মের শুরুতে ভ্রমণ করলে হোটেল ও ফ্লাইটের দাম কম থাকে।

ইউরোপের কোন শহরগুলোতে কম খরচে থাকা যায়?

বুদাপেস্ট (হাঙ্গেরি), প্রাগ (চেক প্রজাতন্ত্র), এবং সেগেড (রোমানিয়া) শহরগুলোতে থাকার খরচ কম।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিভাবে সস্তা ভ্রমণের টিপস পাওয়া যায়?

ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক গ্রুপ এবং ভ্লগ থেকে অন্যান্য ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং দেখে সস্তা ভ্রমণের টিপস পেতে পারেন।

আমি যদি শেনজেন দেশগুলি ভিজিট করতে চাই তাহলে কি আমার ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স কেনা উচিত?

যদি শেনজেন দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে অবশ্যই ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স নিতে হবে। ভিসা পেতে এটা বাধ্যতামূলক। ইনস্যুরেন্সটা অন্তত €30,000 পর্যন্ত কভারেজ দিতে হবে এবং যে কোনো মেডিকেল ইমার্জেন্সি বা দুর্ঘটনা সামলানোর মতো উপযোগী হওয়া জরুরি। তাই ভ্রমণের আগে ভালো একটা ইনস্যুরেন্স প্ল্যান বেছে নেওয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

শেনজেন এরিয়ার অধীনে আসা দেশ কোনগুলি?

শেনজেন এরিয়াতে মোট ২৬টা দেশ রয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন আর সুইজারল্যান্ডসহ অনেক দেশ আছে। এই অঞ্চল ভ্রমণ করলে একটা ভিসা দিয়েই সবগুলো দেশ ঘোরা যায়।

শেষ কথা

ইউরোপ ভ্রমণ একটি স্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা, তবে বাজেটের মধ্যে থেকে এটি উপভোগ করার জন্য কিছু পরিকল্পনা ও সচেতনতা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতির মাধ্যমে কম খরচে সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো, সস্তা থাকার ব্যবস্থা, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধা এবং স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা করার মাধ্যমে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অতিরিক্তভাবে, সামাজিক মিডিয়া ও ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো থেকে টিপস সংগ্রহ করে আপনি আরও সাশ্রয়ী পন্থায় ভ্রমণ করতে পারেন। সুতরাং, যদি আপনি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করেন, তবে ইউরোপের সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন, আর তাও কম খরচে। আপনার যাত্রা সফল ও আনন্দময় হোক!

Leave a Comment